পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিয়নের চিঠি বিলি করার সময়েই বাইরে গিয়েছে। ভাগ্যে চিঠি খান হাতে পেয়েছে সে । অবনীকে এ চিঠি সে দেখাবে না। যে আত্মহত্যা করতে ব্যাকুল তাকে সে উস্কানি দেবে না । অন্তরের কাজে কান দুটি বা বা করে তামালের । বোকা । তার গয়না বেচে বেচে সংসার চালাচ্ছে, তবু সে-ই হয়েছে অবনীর বোঝা ! দু’টো পয়সা রোজগার করার কোন উপায় যদি তার থাকত । এই জ্বালা আর আপশোষ তার চিন্তাকে ধীরে ধীরে অন্য ভাবে खांति अनि । তার রোজগারের উপায় ? যোয়ান-মদ শিক্ষিত রোজগেরে মানুষটা কোণঠাসা নিরুপায় হয়ে রোজগারের ফিকিরে ঘুরছে আট ন” মাস-বোকা হাব ঘরের কোণার বৌ সে—তার রোজগারের উপায় ! কচি কচি দুটো ছেলেমেয়ের মা সে, তার রোজগারের উপায় ! শীর্ণ অপুষ্ট খোকন আর খুকুমণির লাবণ্যহীন করুণ মুখ দু’খনির দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে হাসবে না। কাঁদবে ভেবে পায় না। তমাল। ওদের জন্য কিছুই করার ক্ষমতা তার নেই। হিন্দুস্থানী এক গোয়ালা বাড়ীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিল দুধের বালতি হাতে করে, তার কাছ থেকে ধারে এক পোয়া দুধ কিনে সে আজ ওদের থাইয়েছে। গম্ভীর মুখে দুধ নিয়ে বলেছে, ৰাবুক পাশ দাম পাবে। ঠিক হ্যায়। ঠিক ষে কিছুই নেই ও গোয়ালা তো তা জানে না। ভেৰেছে, বৌ NOG