পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলহTন্তরিত একটা মেয়েলি কলহের পরিণামে এমন সংকট সৃষ্টি হতে পারে ? তিনশ লোকের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা ভেস্তে যেতে বসে ? এ যেন ৰকল্পনা করা যায় না । তিনশ মানুষ আজ কতকাল ভাগ হয়ে কাছে তিন ভাগে, তিনটি ইউনিয়নে। এত কাল পরে যদিও বা দেখা দিয়েছে তিনটে ইউনিয়ন একটা হয়ে যাবার সম্ভাবনা, দু’জন স্ত্রীলোকের ঝগড়া আবার সব নষ্ট করে দিতে বসেছে। গোকুলের সাখীরা হাসবে না। কঁদিবে ভেবে না পেয়ে শুধু বলে, কী আপশোষ । কী আপশোষ । মালিকপক্ষ আর দীনেশের কয়েকজন হঁফ ছেড়ে বলে, বঁচা গেল । লাগ বাবা রাবণ বিভীষণ, আরও জোরাসে লাগ । গোকুলদের এবং দীনেশদের ইউনিয়ন দুটি বেসরকারী। এ দুটি ইউনিয়নের জন্যই অবশ্য সম্ভব হয়েছে এবং টিকে আছে মালিক পক্ষের নিয়ন্ত্রিত আইন-সন্মত তৃতীয় ইউনিয়নটি। সকলেই জানে যে বেসরকারী ইউনিয়ন দুটি কোনরকমে মিলে গেলেই ইউনিয়ন দাড়িয়ে যায় একটা-কর্তাদের গড়া লোক দেখানো ফাকির বদলে কর্মীদের নিজেদের আইন-সন্মত ইউনিয়ন। দীনেশ মিল চাইত কিন্তু মিলতে রাজী হত না । সে বলত, বেশ তো, তোমাদের ইউনিয়নটা ভেঙ্গে দাও । আমাদের সূঙ্গে डिgg *ए । tR