পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটু পরেই বলে, দেখলেন তো মশাইরা, ভদ্রলোকের এক কথা । বলেছি মুখ বন্ধ, আর কি আমি কথা কই । মুখ থেকে হাত সরিয়ে কঁাদ কঁাদ হয়ে বলে, দুওের ! কত কথা বলে ফেললাম। ভদ্রলোকের এক কথা, নিজের মাথাটা এখন আমি খাই কি করে ? নাগাল পাব না যে ! হাতে থলি বুলিয়ে চেনা লোকের সঙ্গে ঠাট্টা তামাসা করতে করতে হাসিমুখে সদানন্দ বাড়ী ফেরে। সদর দরজার চৌকাটি ডিঙ্গিযেই হাসিটা তার মিলিয়ে যায়। নির্মলা কুমডো কুটছিল, রেশনের চাল অব গমভরা থলি দুটো প্ৰায় তার গায়ের উপর ধপাস করে নামিয়ে দিয়ে মুখ বিকৃত করে বলে, নাও পিণ্ডি গেলো সবাই । নির্মলা বঁটিটা সরিয়ে রেখে ঝংকার বলে, হাত কেটে যেত না ? সদানন্দ ঝাঝের সঙ্গে বলে, কাটে তো না কোন দিন ? একটু রক্ত বেরিয়ে তেজ কমতো । নির্মলার গলা চড়ে যায়।-কি তেজ আমার তুমি দেখলে শুনি ? সকাল বেলা গায়ে পড়ে। ঝগড়া সুরু করেছ ? সকাল বেলা এক কাপ চা জোটে না আমার । রেশনের দোকানে। ধন্না দাও, বাজারে যাও ওই তো চ করা রয়েছে, খেলেই হয় ! সদানন্দ গর্জন করে বলে, ঠাণ্ড চা খাব নাকি ? নির্মলাও গর্জে ওঠে, চেচিও ন} ঘাড়ের মতো । গরম করে দেব ना दgव्यछि ? আধ ভিজা কাপড়ে ষোল বছরের মেয়ে মায়া এসে দাড়ায় । একটা কাপড়-কাচা সাবান এনে দাও বাবা