পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूभिक হালে ‘বাউল’ ও ‘বাউল-গীতি’ নিয়ে যত বেশী আলাপ-আলোচনা হয়েছে বা হচ্ছে, মনে হয়, বাংলা সাহিত্যের অন্য কোনো শাখা নিয়ে এত বেশী আলোচনা আর হয় নি। কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে, তার ফলে বিষয়টির মীমাংসা না হ’য়ে অধিকতর জটিল হ’য়ে উঠেছে ; এবং শেষ পর্যন্ত কে প্রকৃত বাউল, আর কে বাউল নয়, তা বুঝে ওঠাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে । এর কারণ হয়ত এই, সুফী বা বাউল-তত্ত্বে অনভিজ্ঞ ও অনধিকা.ীর কাল্পনিক ব্যাখ্যার ফলেই এই সমস্যার স্বষ্টি হ’য়েছে। ফলে, জগন্মান্য মশহুর সুফী-সাধকরাও বাঙলার বাউলদের সমগোত্রীয় সাধক ব’লে বিবেচিত হচ্ছেন ! সম্প্রতি জনৈক তরুণ বাঙালী গবেষক বাউল-তত্ত্বে অনভিজ্ঞতাবশতঃ বিখ্যাত সুফী সাধক মওলানা রুমী, জামী, এমন কি সাদীকেও বাঙলার বাউলদের পূর্বসুরী বলে উল্লেখ করেছেন। র্তার গ্রন্থ পড়লে মনে হয়, সত্যি সত্যিই বুঝি মওলানা রুমী, জামী প্রমুখ বিখ্যাত সুফী-সাধকদের দৃষ্টান্তে বাঙলা দেশে বাউল মত বা বাউল ধর্মের স্বষ্টি হয়েছে, এবং সেই সব বিখ্যাত সাধকগণ নাকি ইসলামের “শরীয়তের ধা পথ রেখে জীবনের মধ্যে জীবন-দেবতাকে খুজে" পেয়েছিলেন।” অর্থাৎ তারা বে-শর ফকীর ছিলেন। আবার আরও একজন তাকে প্রজনন বিজ্ঞান-ভিত্তিক অভিনব বাউল সাধনার প্রবর্তক বলে দাবী করেছেন । বস্তুতঃ প্রামাণ্য তথ্যাদি ১. বাউল কবি লালন শাহ্, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, ২য় সংস্করণ, কুষ্টিয়া, ১৯৬৬, পৃঃ ৭০ ২. লালন শাহের জীবন কথা : এস,এম, লুৎফর রহমান, সাহিত্য পত্রিকা, বর্ষী, ঢাকা, ১৩৭৪