পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ു? ) শাহকে দান পত্র করে দিয়ে যান । এই উত্তরাধিকারিত্বের নিদর্শনস্বরূপ লালন শাহ রুত জমানের একটি পাট্ট ও রেজিস্টিকৃত দলীলও তার অস্তাবধি बक ক’রেছেন।” এই দলীলটি বাংলা ১২৮৮ সনে ( ১৮৮১) রেজিস্টিকৃত হয় । তাতে লালনের পরিচয় লিখিত আছে এ-ভাবে— “পাষ্ট্র। গ্রহিতা শ্ৰীলালন শাহ পীতার নাম মৃত সেরাজ শাহ জাতিয় মুসলমান পেশা ভিক্ষা ইত্যাদী সাং ছেওড়া পং ভ্রাহিমপুর ভালুকাপুর রেজিষ্টারী কুমার খালী’ বর্তমান খণ্ডে এই দলীলের একটি আলোক চিত্র দেওয়া যচ্ছে । লক্ষ্য করবার বিষয় এই যে, এখানে লালন নিজেকে মুসলমান বলেছেন এবং পিতার নাম ‘সিরাজ শাহ ? লিখেছেন । কিন্তু আসলে সিরাজ র্তার পীর এবং পালক পিতা । পেশ। ‘ভিক্ষা’কে আধ্যাত্মিক অর্থে ধরতে হবে। এ থেকে জানা যাচ্ছে যে, লালন ১৮৮১ সালের আগেই ছেউড়িয়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন । আমরা দুদ-শাহ্ লিখিত ‘জীবনী-চরিতেও পাই যে, ১২২২ সালে ( = ১৮১৫ ঈ ) রাজশাহী জিলাস্থ খেতুরের মেলা থেকে ফিরবার পথে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হ’য়ে সর্ব প্রথমে ছেউড়ে শুকুর শাহ লালনের শিন্ত র্তার সস্তানাদি না থাকায় আয়েজুদ্দীন শাহ কে পোন্ত পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। আয়েজুদ্দীন শাহের পুত্র আলী আহমদ শাহ, এবং তারই পুত্রদ্ধয় বর্তমান বিবৃতির কথক । এদের মধ্যে অধ্যাপক আমজাদ হোসেন শাহ বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ।