পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAAAA SAS A SAS A SAS A SAS SSAS SSAS --- (夺) এই বাউলবাদ আসলে সুফীবাদেরই রূপান্তর । এর বহিরঙ্গ চেহারা যেমনই হোক না কেন, অন্তরঙ্গ রূপটি যে সুফীবাদের, এ-কথা অনস্বীকার্য । বর্তমান নিবন্ধে তার কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করা গেল মাত্র । লালন শাহের পক্ষে সবচেয়ে কৃতিত্বের বিষয় এই যে, তার গানে উনিশ শতকের সেই সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততার যুগেও অপূর্ব মানব-প্রেম ও দেশাত্মবোধের উদ্বোধন ঘটাতে সক্ষম হ’য়েছিলেন এবং সাধারণভাবে নিন্দিত হ’লেও বিশেষভাবে জাতি ও সম্প্রদায়ের উধেব থেকে প্রেম ও আশার বাণী শোনাতে সক্ষম হয়েছিলেন । তাই দেখতে পাই— উনিশ শতকের শেষার্ধে লালনের গানে, লালনের সুরে, এমন কি লালনীয় রঙে সারা বাঙলার আকাশ-বাতাস রেঙে উঠেছিলো । ১ এই লালনীয় রঙে রাঙতে পেরেছিলেন বলেই কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ বাউল ধর্মকেই 'মানব ধর্মের’ নামান্তর বলে ভাবতে গৌরব বোধ করেছিলেন । তারই অননুকরণীয় ভাষায় বলতে পারা যায় ঃ “মানুষের দেবতা মানুষের মনের মানুষ; জ্ঞানে কর্মে ভাবে যে পরিমাণে সত্য হই সেই পরিমাণেই সেই মনের মানুষকে পাই—অস্তরে বিকার ঘটলে সেই আমার আপন মনের মানুষকে মনের মধ্যে দেখতে পাই নে। মানুষের যতকিছু দুৰ্গতি আছে সেই আপন মনের মানুষকে হারিয়ে, তাকে বাইরের উপকরণে খুজতে গিয়ে, অর্থাৎ আপনাকে পর করে দিয়ে ।...সেই বাহিরে বিক্ষিপ্ত আপনা-হারা মানুষের বিলাপ গান একদিন শুনেছিলাম পথিক ভিখারির মুখে— “আমি কোথায় পাব তারে আমার মানুষ যে রে ”২ سیاچ--------- ২. ‘উনিশ শতকের সখের বাউল সম্প্রদায় ও লালন শাহ” অধ্যায় বর্তমান গ্রন্থের প্রথম খণ্ড । ( পুঃ ১৭৬–১৯৩ ) ২. মানব ধর্ম ঃ রবীন্দ্রনাথ, কলিকাতা, ১৯৪৬, পৃঃ ১৯