পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ এইরূপ উপদেশ প্রদান, মহেশ্বরকে প্রণাম এবং মুলি সমাজে ভাৰ্য্যাঞ্চে অবলোকন করিয়া পিতৃলোকে গমন করিলেন। শক্লি-নন্দন পিতা গমন করিলেন দেখিয় জর্জনাপূর্বক শশিভূষণ শিবকে হুমধুর বাক্যে স্তব করিলেন। অনস্তর স্মরহুর অন্ধকস্থান মহাদেব, তুষ্ট হইয়া শক্রিনাল পরাশরের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশপুৰ্ব্বক সেই স্থানেই অন্তহিত হইলেন। জগদম্বার সহিত মহেশ্বর অম্ভহিত হইলে, মন্ত্রজ্ঞ পরাশর মহেশ্বরকে প্রণাম করিয়া মন্ত্র-প্রভাবে রাক্ষসবংশ দগ্ধ করিতে লাগিলেন । ৯০-১০৭ ৷ তখন ধৰ্ম্মজ্ঞ বলিষ্ঠ, মুনিগণপরিবৃত হইয়া হইয়া পৌত্রকে বলিলেন, বৎস! অত্যন্ত ক্ৰোধ করা কৰ্ত্তব্য নহে ; ক্রোধ পরিত্যাগ কর। রাক্ষসগণের অপরাধ নাই; তোমার পিতার অদৃষ্টেই তাহ ছিল। ক্রোধ, মূঢ়গণেরই হইয়া থাকে, জ্ঞানীদিগের হয় না । তাত ! কে কাহাকে মারিতে পারে ? মন্তষ ত আপনার কৃত কৰ্ম্মেরই ফল ভোগ করিয়া থাকে । বৎস! ক্ৰোধ-মনুষ্যগণের অতি কেশসঞ্চিত যশ ও তপস্তা ফল বিলুপ্ত করে। নিরপরাধ অক্ষমবাক্ষসদিগকে আর দগ্ধ করিয়া কাজ নাই। তোমার এই রাক্ষসযজ্ঞের বিরাম হউক, কেন না, ক্ষমাই সাধু গণের সার বস্তু। বলিষ্ঠ-বাক্যের অলজনীয়তাপ্রযুক্ত মুনিপুঞ্জৰ শক্রিনক্ষম, তাহার আদেশমাত্রেই তৎক্ষণাৎ রাক্ষসযজ্ঞ শেষ করিলেন। তাহতে মুনিসত্তম ভগবান বসিষ্ঠ, বড়ই প্রীত হইলেন। অনন্তর ব্রহ্মপুত্র মুনিবর পুলস্ত্য, সেই যজ্ঞস্থলে সমাগত হইয়া বসিষ্টপ্রদত্ত অৰ্ঘ্য গ্রহণ ও আসনে উপবেশনপূর্বক প্রণত হইয় অবস্থিত পরাশরকেবলিলেন,বৎস! অত্যন্ত বৈরস্থলেও তুমি যে গুরুবাক্যে ক্ষম অবলম্বন করিয়াছ, এই ফলে তোমার সমস্ত শম্বে অভিজ্ঞতা জন্মিবে। তুমি যে ক্রুদ্ধ হইয়াও আমার সন্ততিবিচ্ছেদ করিলে না—এজন্ত হে মহাভাগ! তোমাকে অন্ত এক প্রধান বর প্রদান করিতেছি । বৎস! তুমি পুরাণ-সংহিত কৰ্ত্ত হইবে। তুমি দেবতাদিগের গঢ় তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে জানিতে পরিবে । বৎস! আমার প্রসাদে তোমার কৰ্ম্মের প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি উভয় মার্গেই অসন্দিগ্ধ निर्मुल उम्लन श्हेल्द । अनष्ठद्र दतअ६दङ्ग उत्रदान् বলিষ্ঠ বলিনে, পুলস্ত্য ঘাহা বলিলেন, এতৎসমস্তই সফল হইবে। অনার, পুলস্থ্য এবং জ্ঞানী বশিষ্ঠের প্রসঙ্গে পরাশর ছয় অংশে বিভক্ত সৰ্ব্বার্থসাধক লিখিগঙ্গানের জাম্বারভুক্ত বিষ্ণুপুরাণ রচনা করেন। এই বিষ্ণুপুরাণ খটুসহস্ৰ শ্লোকাজুক। নিখিল নেদার্থপূর্ণ পুরাণের মধ্যে চতুর্থ এবং সংহিতা সঞ্চলের సెసి ' মধ্যে স্থশোভন। হে মুনিপুঞ্জবগণ! এই শুমি তোমাদিগের নিকটে সংক্ষেপে বলিষ্ঠ সস্তুতিগণের উৎপত্তি এবং শক্রিনন্দন পরাশরের প্রভাববিবরণ কীৰ্ত্তন করিলাম। ১৮৮—১২৬ ৷ চতুঃষষ্টিতম অধ্যায় সমাপ্ত। পঞ্চষষ্টিতম অধ্যায় ঋষিগণ বলিলেন, হে বংশজ্ঞপ্রধান রোমহৰণ ! তোমাকে আমাদিগের নিকট সংক্ষেপে সূৰ্য্যবংশ ও চন্দ্রবংশ কীৰ্ত্তন করিতে হইবে । স্থত বলিলেন, হে দ্বিজগণ । অদিতি কশ্যপসংসর্গে পুত্র আদিত্যকে প্রসব করেন। সেই আদিত্যের তিন ভাৰ্য্যা ছিল । রাষ্ট্রী ছিলেন সংজ্ঞা; প্রভা ও ছায় আর দুইটী ভাৰ্য্যা। ইহাদিগের পুত্ৰগণের কথা তোমাদিগকে বলিতেছি, তুর্ভূতময় রাজ্ঞীসংজ্ঞ, সূৰ্য্যসংসর্গে অতুংকুষ্ট বৈবশ্বত মন্ত, যম, যমুন এবং রেবতর্কে উৎপাদন করেন। প্রভ, আদিত্য-সহবাসে প্রভাতের জননী হইলেন। ছায়া সংজ্ঞাকল্পিত নিজ স্থায় মুক্তি | হে দ্বিজগণ । ছায়া আদিত্যসংসর্গে সাবর্ণিমকু, শনি, তপতী এবং বিষ্টিকে যথাক্রমে উৎপাদন করেন । ছায় নিজতনয় সাবধুত্ব প্রতি অধিক স্নেহ প্রকাশ করিতেন । বৈবস্বত মল্ল, ইহা সহ করিতেন। কিন্তু ধম একদা ক্রোধে ধীর হইয় ছায়াকে দক্ষিণ পদাঘাত করেন। ছায়া ধমকর্তৃক তাড়িত হইয়া অত্যস্ত দুঃখিত৷ হইলে । তাহার শাপে যমের সেই উৎকৃষ্ট চরণ খানি, কেদযুক্ত, পুস্থশোণিতপুর্ণ এবং কুমিসমূহে পরিব্যাপ্ত হইল। তখন যম গোকৰ্ণ তীর্থে গমনপুৰ্ব্বক ফলাহার, জলাহার এবং বায়ুভোজী হইয়া অযুত অযুত বৎসর মহাদেবের আরাধনা করিলেন। যম, শিবের প্রসাদে উংকুষ্ট লোকপালত্ব ও পিতৃগণের আধিপত্য লাভ করেন; এবং সেই দেবদেব শূলপাণির প্রভাবে শাপমুক্তও হন। পুৰ্ব্বকালে, অনিন্দিতা তুই-তময় সংজ্ঞ, স্বৰ্যতেজ সহ করিতে না পারিয়া ছায়া নামে আপনার ছায়ামূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করেন । তাঁহাকেই স্বৰ্ষস্থালয়ে রাখিয়া সেই স্বত্রত, আপনি বড়বারূপধারণ পূর্বক তপস্ত করিতে লাগিলেন। (ছায় এইরূপে স্বৰ্য্যপত্নী হন) । ছায়াপতি প্ৰভু স্থৰ্য্য, কালক্রমে বহুত্বে ছায়াকে ছায়া বলিয়া বুঝিতে পরিয়া বিশেষ অনুসন্ধানপূর্বক ক্ষারূপিণী সংজ্ঞাঞ্চে অশ্বক্ষপে উপগত হন । তখন বড়ৰাপিণী তনয় সংজ্ঞ, সূৰ্য্যসংসর্গেদেবগণেী