পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তষষ্টিতম অধ্যায় । ব্যাতি বললেন, হে ব্ৰাহ্মণ প্রভৃতি বর্ণগণ! আমি মে তে বহুকে কোন মতেই রাজ্য প্রদান করিব না, সকলই মুমার কৰা অহা শ্রফ করুন। জ্যেষ্ঠপুত্ৰ বস্থ,আমার আদেশ প্রতিপালন করে নাই। পিতার প্রতিকুলাচারী পুত্ৰ সাধুসমাজে নির্মিত। মাতাপিতার আঙ্গাকারী পুত্রই সাধুগণের প্রশংসাপার। যে মগু-পিতার প্রতি পুত্রেপযুক্ত ব্যবহার কবে, সেই পুত্র। বস্তু, তুৰ্ব্বস্তু, ক্র্য, অন্য সকলেই আমার অত্যন্ত অবমাননা করিয়াছে। কনিষ্ঠ পুত্র পুরু, আমার কথা রাখিয়াছে, আমাকে বিশেষ মাষ্ঠ করিয়ছে। সে আমার জরা গ্রহণ করিয়াছে। দেবযানীর জন্ত শুক্র আমাকে “জরাগ্রস্ত হও" বলিয়া শাপ দেন। পরে অনেক অনুনয়-বিনয়ে তিনি জর বাহাতে আপরে সঞ্চারিত করিতে পারেন, এইরূপ করিয়া দেন। কাব্য উশনা স্বয়ং গুন বর প্রদান করেন, যে পুত্র তোমার অনুবৃত্তি করিবে, সেই রাজ্যাধিকারী হইবে। অতএব আপনারাও পুরুর রাজ্যাভিষেকে অনুমতি প্রদান করুন। প্রজাগণ লিঙ্গপুরাণ হয়; অন্ত কোটি কোটি কৰ্ম্ম করিলেও ত্রলাভ হয় ন-কাম বিষয়োপভোগ দ্বারা প্রশান্ত হয় না। কিন্তু হবি দ্বারা অগ্নিদেবের স্থায় কাম উপভোগ স্বারা অধিকরূপে বৃদ্ধি পাইতে থাকে। স্ত্রীহি, যব, হিরণ্য, পশু এবং কামিনী প্রভৃতি যত পদার্থ আছে, সেই সকল বঙ্গ একজনেরও আশা পূর্ণ করিতে প্লারে না। সাধু ব্যক্তি এই বিবেচনায় শম অবলম্বন করিবেন। যখন সকল ভূতেই মন, বাক্য এবং কৰ্ম্ম দ্বারা পাপভয় বর্জন করা যায়, তখন ব্রহ্মসম্পত্তি লাভ হয় । যখন পর হইতে ভীত না হওয়া যায় এবং পরের ভয়জনক না হওয়া যায়, যখন পরের দ্বেষ কিংবা নিন্দ না করা যায়, তখন ব্রহ্মসম্পত্তি লাভ হয়। কুৰ্ম্মতিগণ যাহাকে ত্যাগ করিতে পারে না, জীর্ণ ব্যক্তিরও যাহ। ক্ষীণ হয় না, সেই প্রতিদিন-বৰ্দ্ধনশীল তৃষ্ণকে যে ব্যক্তি ত্যাগ করিয়াছে, সেই সুৰী ! মনুষ্যগণ যখন জরাযুক্ত হয়, তখন তাহার জরাবশতঃ কেশ শুক্ল, দস্তু ভয় এবং নয়ন ও শ্রবণ অন্ধ ও বধির হয় । কিন্তু কি আশ্চর্য্যের বিষয়, তখনও তাহার তৃষ্ণার কোন অংশে নু্যনত হয় না। কিন্তু মনুষ্যগণের সেই জরার প্রতি স্বভাবই একমাত্র কারণ, অন্ত কেহই নয়। মনুষ্য জরাগ্রস্ত হইলেও বললেন, যে পুত্র গুণবান সতত পিতামহের হিত তাহার জীবনাশ এবং ধনাশ জীর্ণ হয় না। কামন্ত্রীড় কার,সে কনিষ্ঠ হইলেও প্রভু এবং সকল মঙ্গলের আস্পদ। আপনার আজ্ঞাকারী পুত্র এই পুরুই শুক্রের বর-প্রভাবে রাজ্যাধিকারী। ইহার অন্যথাচরণ করা কাহারও সাধ্য নহে। স্থত কহিলেন, জাপদগণ তুষ্ট হইয়া এইরূপ কহিলে, নহষপুত্র বাতি, স্বয় রাজ্যে পুত্র পুরুকে অভিষিক্ত করলেন। দক্ষিণ ও পূৰ্ব্বদিকে তুৰ্ব্বস্তুকে নিযুক্ত করিলেন ; এবং মহারাজ যযাতি জ্যেষ্ঠ পুত্র যত্নকে দক্ষিণ দিকের শাসনে আদেশ করিয়া পশ্চিম ও উত্তর দিকের আধিপত্যে ক্র্য এবং অমুকে নিযুক্ত করিলেন। এই প্রকারে যাতি রাজা স্বীয় ভুজবীৰ্য্যে উপার্জিত অবনীমণ্ডল পুরু, দেবানী পুত্রদ্ধয় এবং শশ্মিষ্ঠার অপর উভয় পুরকে এই তিন ভাগে বিভাগ করিয়া দিলেন। নিজামুক্ত রাজ্যলক্ষ্মী পুত্ৰগণের প্রতি সংস্থাপন করিয়া স্বয়া তিশয় আনন্দিত হইয়া অষ্টান্ত কার্য্যের ভার কংগে নিক্ষেপ করত অৰ্বিচনীয় প্রীতিলাভ করিলেন। মহারাজ ধ্যাডি এই অবকাশে কতগুলি পুরাঙ্গী গাধা গান করিয়াছিলেন। মনুষ্যগণ খে গাখ পাঠ করিলে কচ্ছপ ষেরাপ কয়চরণাদি অঙ্গ সকল সম্বরণ করে,সেই প্রকার কাম সকল প্রত্যাহরণ ক্ষরিতে পারে ; এক গুছি আর মনুষ্যগণের জীবৃদ্ধি জনিত কিংবা স্বর্গাদি-বাসজষ্ঠ যে মুখ অতিশয় আদরনীয় হয়, সেই সুখ-আশা পরিত্যাগ-জনিত মুখের ষোড়শাংশের একাংশেরও সমতুল নহে। রাজর্ষি এইরূপ সারগর্ভ বাক্য প্রয়োগ করিয়া ভাৰ্যর সহিত বনমধ্যে প্রবেশ করিলেন। মহাত্ম রাজা তথায় অনশনাদি উপায় দ্বারা ভৃগুতুঙ্গ-নামক স্থানে তপস্যসাধন করত পত্নীর সহিত স্বর্গে গমন করিলেন। দেব এবং ঋষিগণ কর্তৃক সংকুত তাহার পাঁচ জন পুণ্যাঞ্জ পুত্র স্বৰ্যকিরণের স্তায় এই পৃথিবীমণ্ডল আচ্ছাদন করেন। মনুষ্যগণ পবিত্র যযাতিচরিত্র শ্রবণ কিংবা পাঠ করিলে ধন, পুত্র, আয়ু, কীৰ্ত্তি প্রভৃতি লাভ করত আস্তে সকল পাপ হইতে মুক্ত হইয়া শিবলোকে পূজিত হন। ১-২৮ সপ্তঋষ্টিতম অধ্যায় সমাপ্ত । অষ্টধষ্টিউম অধ্যায় । স্থত বলিলেন, যযাতি রাজার জ্যেষ্ঠ পুত্র মহাতেজ যদুর বংশাবলি সংক্ষেপে বর্ণন করিতেছি শ্রবণ করুন। বছর দেবতনীসদৃশ পাঁচটা সন্তান-সহস্রজিং, ক্রোঃ