পূৰ্ব্বভাগ। ১৬৪-১১৫ । স্থত কহিলেন, পরমেশ্বর মহাদেব র্তাহীদের যথাভিলম্বিত বর প্রদান করিলেন এবং দেবী, নদী ও ভূতগণের সহিত তৎক্ষণাৎ অন্তৰ্হিত হইলেন। মহেশ্বর সগণে পাৰ্ব্বতীর সহিত গমন করিলে, পর স্বরেখর, মুনীশ্বর, দেবতা ও ঋষির দুঃখবর্জিত হইয়া সবিস্ময়ে ভব ও ভবানীর উদ্দেশে প্রণাম করিয়া সবাহনে স্বর্গে গমন করিলেন। যে ব্যক্তি ব্ৰহ্ম-নিৰ্ম্মিত পবিত্র ত্রিপুরারির স্তৰ শ্ৰাদ্ধকালে অথবা দৈব কৰ্ম্মে পাঠ করে, অথবা দ্বিজকে শুনায়, সে কাষিক, বাচিক, মানসিক পাপ হইতে মুক্ত হইয়া ব্রহ্মলোকে গমন করে। স্কুল, স্বক্ষ, অতি সৃক্ষ, মহাপাতক, পাতক, উপপাতক নামে যে সকল পাপ আছে, এই অধ্যায় শ্রবণে তাহাও নষ্ট হয়, শত্রুঞ্জয় হয়, সংগ্রামে বিজয়ী হয়। পীড়াসকল তাহাকে ক্লেশ দিতে পারে ন}, আপদ স্পর্শও করিতে পারে না। তাহার ধন, আয়ু, যশ অক্ষুণ হয়। ১৯৬—১০৪ ॥ দ্বিসপ্ততিতম অধ্যায়ু সমাপ্ত। - ত্রিসপ্ততিতম অধ্যায় । মহেশ্বর ত্রিপুর ক্ষণকালের মধ্যে দগ্ধ করিয়া গমন করিলে পর, ব্ৰহ্মা সুরেন্দ্র-সভায় কহিলেন, তারক-পুত্র তারের পৌত্র বলবান তারকাক্ষদৈত্য বীর্যবান কমলাক্ষ, ও বিদ্যুন্মালী, এবং অন্তান্ত অনেক দৈত্য, হরির মায়ায় দেবদেবকে পরিত্যাগ করিয়া বিনষ্ট হইল। তাহাদের পুর ধ্বংস হইল ; বন্ধু বান্ধবও নষ্ট হইল। তজ্জন্ত লিঙ্গমূৰ্ত্তি মহাদেবকে পূজা করা উচিত। যে পৰ্য্যস্ত র্তাহার পূজা করিৰে, সেই পৰ্য্যন্তই তোমরা সুখে অবস্থান করিতে পারবে। অতএব শ্রদ্ধাসহকারে দেবতাদের তাঁহাকে পূজা করা উচিত; যেহেতু ঐ জগৎ লিঙ্গাধীন, লিঙ্গে সকলই অবস্থিত। যে আপনার অভীষ্ট সিদ্ধি করিতে বাসনা করে, সে লিঙ্গপূজা করিবে। দেব দৈত্য দানব যক্ষ বিদ্যাধর সিদ্ধ রাক্ষস পিতৃপুরুষ মুনি পিশাচ কিয়রাদি সকলেই লিঙ্গমূৰ্ত্তি মহাদেবকে পূজা করিয়া সিদ্ধ হইবে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। হে দেবগণ। যে কোন প্রকারে লিঙ্গার্চনা করিবে ; আমরা সেই ধীমান দেবতার নিকট পশুসদৃশ। অতএব পাশুপত ব্ৰত করিয়া পশুভাব পরিত্যাগ করিতে গিল্পমূৰ্ত্তি মহাদেবকে পূজা করা উচিত। প্রথম পাঁচবার ওঁকার উচ্চারণ করি | কারণে প্রাণীরাজ করবে, তাই দ্বারা পঞ্চভূক্ত নিশান বিষ্ণু २२४ করবে। তাহার পর চারিবার প্রণবযুক্ত প্রাণারাম করবে। হে দেবগণ। তথাবিধ প্রণবযুক্ত প্রাণায়াম করিবে। প্রাণায়ামপরায়ণ হইয় প্রথুব দুইবার স্কাস করিয়া প্রণব উচ্চারণ করিয়া, প্রাণ ও অপান বায়ুকে নির্দেশ করিবে। জ্ঞানরূপ অমৃত ও প্রণবারা সৰ্ব্বাঙ্গ পূরণ করবে। ১—১৪ । মন,বুদ্ধি, অহঙ্কার, চিত্ত, চতুৰ্দ্ধাখ্যায়ক, গুণত্রয়, অহঙ্কার, পঞ্চতন্মাত্র, বুদ্ধপ্রিয়, কৰ্ম্মেলিয়, বিশ্ব, তৈজস ও প্রাঙ্গকে বিশোধিত করিয়া চিদাত্মাকে চৈতন্তস্বরূপ ভাবনা করিয়া অগ্নি ইত্যাদি মন্ত্রদ্বারা ভষ্ম স্পর্শ করিবে । তারপর বায়ু ইত্যাদি মন্ত্র, বোম ইত্যাদি মন্ত্র, পৃথিবী ইত্যাদি মন্ত্র ও জমদগ্নি ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা ভাষ্ম স্পর্শ করিবে। সেই যোগী সেই সৰ্ব্বতত্ত্বজ্ঞ। হে দেবসত্তমগণ! পশুপাশ-বিমোক্ষের নিমিত্ত মহাদেব কর্তৃক ঐ পাশুপত ব্ৰত কথিত হইয়াছিল। ঐ প্রকারে আমার ও মহাত্মা বিষ্ণু কর্তৃক দৃষ্ট, লিঙ্গমুৰ্ত্তি মহাদেবকে পূজা করিয়া পাশুপত ব্ৰতচরণ করিলে, পশুযোনিতে জন্ম হয় না এবং বর্ষমধ্যে দেবতা হয় । আমাদের যখন কাৰ্য্য করিতে হইবে, অগ্রে লিঙ্গরূপী ঈশ্বরকে পূজা করিয়া পরে কার্য্য করা কৰ্ত্তব্য। হে মুরসভমগণ ! আমার বিষ্ণুর ও মুনিদিগের ঐ প্রতিজ্ঞ। সেই ক্ষতি, সেই ছিদ্র, সেই মুকতা, যেক্ষণে যে মুহূৰ্ত্তে সেই অদ্বিতীয় শিবকে পূজা না করা যায় যাহারা ভবভক্তিপরায়ণ খুহাদের চিত্ত ভবে প্রণত ও যাহারা কেবল ভবকে স্মরণ করে, তাহারা কখনও দুঃখভাজন হয় না। তাহাদের মনোহর গৃহ হয়,দিব্য আভরণ হয় ও দিব্য স্ত্রী হয় তাহদের সত্তোযাতিরিক্ত ধন হয়। যাহার মহাভোগ বাঞ্ছা করে অথবা স্বৰ্গরাজ্য লাভ করিতে ইচ্ছা করে। তাহারা সর্বদা লিঙ্গরূপী মহাদেবকে পুজা করুক। কোন ব্যক্তি যদি ঐ সমস্ত প্রাণী ও জগৎকে দগ্ধ করিয়া অদ্বিতীয় সেই বিরূপাক্ষকে পূজাকরে, সেও পাপে লিপ্ত হয় না এই বলিয়া ব্রহ্মা সৰ্ব্বদেবকে নমস্কার ও শৈললিঙ্গ পূজা করিয়া স্তব করিলেন। সেই অবধি শক্ৰাদি দেবগণ ভস্মাঙ্কিতশরীর হইয়া পাশুপত ব্রত আরব্ধ করিলেন। ১৫-২১ ত্রিসপ্ততিতম মুখায় সমাপ্ত। চতুঃসপ্তষ্ঠিতম অধ্যায় । স্বত কহিলেন, ব্ৰহ্মার আদেশে বিশ্বকৰ্ম্ম স্বাধি- '"'; ইশ্রীমাণমিশ্মিত লিঙ্গ পূজা - t
