উত্তরভাগ । মুখী, স্ত্রীগণবেষ্টিতা, দেবকাসদৃশী শ্ৰীমতী কাকে সঙ্গে করিয়া সভামধ্যে প্রবেশ করিলেন । ৭৫-৮৫ ৷ তৎকালে রাজার সমৃদ্ধিযুক্ত, নানাবিধ মণি এবং উংকৃষ্ট রত্নসমূহদ্বারা চিত্রিত সিংহাসনাদি আমনসংযুক্ত, পুষ্পমালা-শোভিত রাজসভা সাতিশয় শোভা পাইতে লাগিল, ঐ সভামধ্যে নানাদেশীয় রাজগণ আগমন করিলেন। অনন্তর বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ, ব্ৰহ্মার শ্রেষ্ঠপুত্র বেরিয়ে সুপণ্ডিত ভগবান, মহাত্মা পৰ্ব্বতমুনি এবং বেদবিতশ্রেষ্ঠ মুনিবর নারদ সভায় আগমন করিলেন, রাজা অম্বরীষ পৰ্ব্বতমুনি এবং নারদ মুনিকে সমাগত দেখিয়া অত্যুস্ত সংক্রান্তচিত্তে উৎকৃষ্ট আসন প্রদানপূর্বক পূজা করিলেন উভয়েই দেবর্ষি এবং সিদ্ধ, উভয়েই জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ। ঐ মহাত্মা মুনিদ্বয় কণ্ঠালাভার্থ সভামধ্যে উপবেশন করিলেন, মহারাজ অম্বরীষ, সমাগত মুনিয়কে অগ্রে প্রণাম করিয়া পদ্মপত্রতুল্য-দীর্ঘলোচনা, যশস্বিনী, শুভলক্ষণসম্পন্ন শ্ৰীমতী কন্যাকে বলিলেন, হে কল্যাণ । কন্তে ! এই যে দুইজন মুনিবর সভায় উপবেশন করিতেছেন, এই দুই জনের মধ্যে তোমার র্যাহাকে অভিলাষ হয়, তাহাকে যথাবিধি প্রণাম করিয়া মাল্যপ্রানকর হস্রনয়ন রাজকন্ত শ্ৰীমতী পিতাকর্তৃক এইরূপ অভিহিত হইয়া তৎকালে স্ত্রীগণবেষ্টিত হইয়া হবর্ণময়ী দিব্যমালা গ্রহণপুৰ্ব্বক যেস্থানে মহাত্মা পৰ্ব্বতমুনি এবং নারদ মুনি উপবেশন করিতেছিলেন, তথায় গমন করিলেন, তদনন্তর মুনিশ্রেষ্ঠ পৰ্ব্বতকে এবং নারদকে বিশেষরূপদেখিয়া জানিতে পারলেন,একজনবানরতুল্যমুখ অপর একজন গোলামূলাধ্য-বানরতুল্যমুখ ; ইহা অবগত হইয়া রাজকন্তু শ্ৰীমতী কিঞ্চিদৃতীত এবং সম্রাস্তচিত্তে বাতন্তমকালীর স্তায় কম্পমানদেহে সে স্থানে দণ্ডায়মান বুহিলেন, রাজা অম্বরীষ কস্তাকে বলিতে লাগিলেন, হে বংসে! তুমি কি করিতেছ, হে শুভে! এই দুইজনের মধ্যে একজনকে তুমি মাল্যপ্রদান কর, পিতার কথাবসানে শ্ৰীমতী ভৗত হইয়া পিতাকে বলিলেন, এ দুইজন ত নরবানর দেখিতেছি । ৮৬–৯৫ । মুলিবর নারদ এবং পৰ্ব্বতকে ত দেখিতে পাইছেছি না, তবে এই নরবানরক্ষয়ের মুধ্যে একজন পঞ্চদশবর্ষবয়স্ক সৰ্ব্বাঙ্গঙ্কারভূষিতদেহ, অতসীপুষ্পসদৃশবর্ণ, দীৰ্ঘৰাছ ; দীর্ধনয়ন, উন্নতবক্ষঃস্থল, সুন্দর পুরুষ ; ইহার কাট ও গ্রীব রেখাযুক্ত, নয়নম্বর রক্তবর্ণপ্রাপ্তভাগ এবং অতি বিস্তৃত, ভ্রম্বয় আৰত্নাপসদৃশ, উদয় ত্রিবলীসংযুক্ত-সাতিপক্ষ সুশোভিত, গাত্র সুবর্ণবর্ণ বস্ত্রাচ্ছদিত, নখ রাখণ্ড ३.e ● সদৃশ, করায় পঞ্চসদৃশ, মুখ পরতুলা, নয়নদ্বয় পদ্ধতুল্য সুন্দর সুন্দর নাসিকাগ্র বক্ষঃস্থল ও নাভি পরে স্তায় শোভমান, অসাধারণী কেশপাশ উৎকৃষ্ট, কুন্দকলিকাতুল্য শুভ্রবর্ণ দস্তশ্রেণী বিষ্কারপূর্বক আমাকেইনি দেখিয়া হাস্ক করিতেছেন এবং দক্ষিণ ঝুহ প্রসারণ করিয়া আছেন। দেখিতে পাইতেছি। রাজা অম্বরীষ সন্ত্রাক্টচিত্তে কদলীতরুর স্তায় কম্পমান সেই স্থলেই অবস্থিত কস্তাকে দেখিয়া বলিলেন, হে বৎস! এক্ষণে তুমি কি করিবে। রাজকন্যা শ্ৰীমতী ইরূপ বলিলে পর নারদমুনি সন্দিগ্ধচিত্তে বলিলেন, হে রাজকন্তে! ঐ পুরুষের কটিবাহু তুমি স্বেরূপ দেখিয়াছ তাহা বল চাকুহাসিনী রাজকন্যা বললেন, এ পুরুষের ত দুই বাহু দেখিতেছি পৰ্ব্বতমুনি জিজ্ঞাসা করিলেন ঐ পুরুষের বক্ষঃস্থলে কি দেখিতে পাইতেছ এবং হস্তেই বা কি দেখিতেছ তাহা আমার নিকট বল, রাজকন্যা পর্বতমুনিকে বলিলেন এ পুরুষের বক্ষঃস্থলে উৎকৃষ্ট পঞ্চ প্রকার মালা দেখিতে পাইতেছে হস্তদ্বয়ে ধনুৰ্ব্বাণ দেখিতেছি রাজকন্ত। এরূপ কথা বলিলে পর মুনিবরদ্বয় মনে মনে বিবিচনা করিলেন, ইহা কোন দেবতার মায়া অথবা মায়াবী কস্তাপহারক ভগবান জনাৰ্দ্দন নিশ্চয়ই স্বয়ং এস্থানে আগমন করিয়াছেন, তাহা ন হইলে আমাদিগের মুখ কি নিমিত্ত বিকটাকার হইবে, নারদমুনি আপনার মুখ গোলাঙ্গুল হইল কেন ? চিন্তা করিতে লাগিলেন পৰ্ব্বতমুনিওঁ চিন্ত করিতে লাগিলেন, আমার মুখ বানরতুল্য হইল কেন। ১৬–১১• । তদন্তর অম্বরীষ রঙ্গ নারদমুনিকে এবং পৰ্ব্বতমুলিকে প্রণাম করিয়া বলিলেন, আপনার দুইজনে কি এই বুদ্ধিমোহজনক কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। এক্ষণে আপনার দুই জনে সুস্থচিত্তে অবস্থান করুন, আপনার বেঙ্গপ কষ্ঠা লাভার্থ উন্মত্ত হইয়াছেন, অর্থাং আপনাদিগের মধ্যে এক জনকে বরণ করবে। অম্বরীষ রাজা একথা বলিলে পর ক্রুদ্ধ হইয়া মুনিবরদ্বয় রাজকে বললেন, তুমিই এ মায়া করিয়াছ, আমরা দুইজনে কদাচ এ মায়া করি নাই জানিবে, কস্তা তোমার আমাদিগের দুইজনের মধ্যে একজনকে অবিলম্বে বরণ করুন। ইহা গুলিলে পর রাজকন্ত শ্ৰীমতী পুনৰ্ব্বার ইষ্টদেবতাঙ্কে প্ৰণাম করিয়া দেখিতে পাইলেন যে, এক মনোহর মায়াময় পুরুষ মুনিম্বন্ধের মধ্যস্থলে সমাহিতচিত্তে অবস্থিতি করিতেছেন; র্তাহার দেহ, সকল অলঙ্কার দ্বারা শোক্তিত্ব, জরুলীপুপতুল্য বর্ণ, দীর্ঘ বান্ধস্বয়, স্বপুষ্ট অনিচয়, বর্ণাঙ্ক
