পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরভাগ । ১–১৪ স্বত্ত কহিলেন, পূৰ্ব্বে ব্রহ্মক্তনয় মহাযশা সনৎকুমার দেবেরুদ্রের শাপ হইতে মুক্ত হইয় তঁহারই প্রসাদে দুষ্ট দেহ পরিত্যাগপূর্বক মরুপ্রদেশ নিকট সমাগত হন। উক্ত মুনির উহার যথাবিধি পূজা করিয়া তৎসমীপে সৰ্ব্বোত্তম মোক্ষধৰ্ম্ম শ্রবণ করেন। পুনরায় প্রণাম করিয়া পাশুপত-ব্রতবিধি পুনঃপুনঃ জিজ্ঞাসা করত কহিয়াছিলেন, হে প্রভো | দেবদেব পশুপতি কিরূপ, তাহ বিস্তারপূর্বক বলুন। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস সেই সনৎকুমারের নিকট হইতেই এই সকল শ্রবণ করিয়াছিলেন ; আমি তৎসন্নিধানেই অবগত হইয় আপনাদিগকে কহিতেছি। সনং কুমার কহিয়াছিলেন, হে প্রভো ! দেব পশুপতি কিরূপ ? ও কাহারা পশু বলিয়া কীৰ্ত্তিত হয় ? এবং কীর্শ রজুতে উহারা বদ্ধ ও কিরূপেই বা পুনরায় বন্ধনমুক্ত হয়, তাহ বলুন। শৈলাদি কহিয়াছিলেন, হে সনৎকুমার। তুমি নিৰ্ম্মলান্তঃকরণ অতি পবিত্র রুদ্রভক্ত, তোমাকে ইহার তত্ত্ব কহিতেছি, শ্রবণ কর । ৫-১১। ব্রহ্মা হইতে হুঙ্ক কীট পর্যন্ত সংসারবশবৰ্ত্ত যে কিছু স্থাবর-জঙ্গমাত্মক, R' ') সহকারে পূজিত হন, তবে উহাদিগকে সদ্যই বন্ধনমুঞ্জকরেন, কায়মনোবাক্যে ও কাৰ্য দ্বারা পুরের ভজনকেই ভক্তি বলা যায়, ভক্তি সকল কার্ঘ্যের হেতু সমর্থ। ১২—২২ । ভগবান সত্য সৰ্ব্বগ্নত চনীয়-রূপবান এই প্রকার শিবের গুণচিন্তাকেই• মানস ভজন কহিয়া থাকে। পণ্ডিতগণ ওঁ কারাদি জপকে বাচিক ও প্রাণায়ামাদি অনুষ্ঠানকে কায়িক ভজন কহিয়া থাকেন। পাপপুণ্যরাপ পাশ দ্বারা জীবগণের বন্ধন হয় এবং একমাত্র ভগবান পরমেশ্বর শিবই উক্ত বন্ধনবিমোচন সৰ্বদি বিষয়, শবাদিগুণ, বন্ধন-সাধন বলিয়া পাশরুপে কীৰ্ত্তিত হয় ; প্রাণিগণ উহাতে বদ্ধ হইলে শিবভক্তিবলে মুক্ত হয়। ক্লেশময় পঞ্চপশিদ্বারা শঙ্কর পশুদিগকে বন্ধন করিয়া ভক্তিপূৰ্ব্বক তাহাদিগের উপাসিত হইলে বন্ধন হইতে মোচন করেন। অবিদ্যা অস্থিত রাগ দ্বেষ ও অভিনিবেশ এই পঞ্চবিধ ক্লেশকে পণ্ডিতের রজ্জ কহিয়া থাকেন। অবিদ্যাকে তম মোহ মহামোহ তামিস্র ও অন্ধতামিস্র এই পঞ্চ প্রকারে অবস্থিত কহিয়া থাকেন। হে মুবিবরগণ! প্রাণিগণ ঐ সকলই ধীমান দেবদেবের পশু বলিয় কাঞ্জিত অবিদ্যাবদ্ধ হইলে শ্ৰীমান শিবই তাহার মোচন হয় ; ভগবান রুদ্র উহাদিগের পতি বলিয়া পশু করেন, তদ্ভিন্ন অপর কেহই বিমোচক নাই। যোগ পতি" এই নামে অভিহিত হন। অনাদি অনন্ত অব্যয় পরায়ণ সাধুগণ আত্মভিন্ন দেহাদিতে আত্মবুদ্ধিরূপ পরমেশ্বর ভগবান বিষ্ণু পশুর স্থায় জীবগণকে মায়ারজ্জতে বন্ধন করিতেছেন। কিন্তু সেই প্রভু রুদ্রই জ্ঞানযোগে সেবিত হইলে ঐ মায়ার জুবন্ধ জীবগণকে মুক্ত করেন, পরমাত্মা পরমেশ্বর শঙ্কর ব্যতীত আর কেহই বন্ধনবিমোচক নাই। চতুৰ্ব্বিংশতিতত্ত্ব পরমেশ্বরের রজ্জুরূপে নির্দিষ্ট ; একমাত্র ভগবান শিব জগংকে চতুৰ্ব্বিংশতি রজ্জু দ্বারা বদ্ধ করিতেছেন এবং ঐ দেবই জীবগণকর্তৃক আরাধিত হইয় তাহদের বন্ধন মোচন করেন। দশ ইক্রিয়ময় পাশ মনোবুদ্ধাহস্কারচিত্তরূপ অন্তঃকরণময় চারি পাশ, শব্দাদি পঞ্চ গুণময় পঞ্চপাশ, ক্ষিত্যাদি পঞ্চ বিষময় পঞ্চপাশ —ম্ভগবান এই চতুৰ্ব্বিংশতি প্রকার বন্ধনসাধন পাশ দ্বারা বিষয়াসক্ত জীবগণকে বন্ধন করিতেছেন। "গুজ ধাতু সেবার্থক রূপে নির্দিষ্ট আছে বলিয়া ঈশ্বরের সেবা করিলেই তাহার ভক্ত হওয়া যায় এবং পণ্ডিতেরা ঐ ঈশ্বরসেবাকেই ভক্তি বলিয়া থাকেন। মহেশ্বর ব্ৰহ্মাদি স্বল্প কীট পৰ্যন্ত সকলকেই সাদিগুণময় পাশত্ৰয় বার বন্ধন করিয়া স্বয়ং সদসৎকাৰী ক্রাইক্তে ন। এটি ঐ পথের জীবগণকর্তৃক বৃঢ়ভক্তি অবিদ্যাকে তম, স্ত্রীপুত্রাদিতে মমতারূপ অস্মিতাকে মোহYবষয়াদিরূপ মহামোহকে রাগ, ইচ্ছার ব্যাঘাতজনিত ক্ৰোধরপ তামিত্রকে দ্বেষ এবং মমতাম্পদ ব্রাদিরক্ষণার্থ অন্ধতামিস্ররূপ মিথ্যাজ্ঞানকে অডিশ কহিয়া থাকেন । বিচক্ষণ পণ্ডিতগণ তমের অষ্ট প্রকার, মোহের অষ্টপ্রকার মহামোহের দশ প্রকার, তামিত্রের অষ্টাদশ প্রকার এবং অন্ধতামিত্রের অষ্টাদশ প্রকার ভেদ নির্দিষ্ট করিয়াছেন। ২৩-৩৫.। ঐ সৰ্ব্বাস্তধামী ভগবানের ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান ত্রিকালেই অবিদ্যা রাগ বা দ্বেষের সহিত কিছুই সম্বন্ধ নাই এবং মায়াতীত দেব পশুপতির কদাপি অতিনিবেশের সহিত সম্বন্ধ নাই এবং ঐ জবিদ্যাতীত মঙ্গলদাতা সৰ্ব্বশরণ্য পরমাত্মা শিবের ত্রিকালের কোনকালেই পুখ-পাপৰূর্ব ও ঐ কার্থের পরিশ্রম দৈরে সহিত কিছুই সম্বন্ধ নাই। ঐ সচ্চিদানন্দন্ধপী' পরাৎপর শস্তুকে ৰিলশ্বর মুখহুখে আশ্রয় করিতে পারে না এবং טי चक्रडू གཱ་ཡཱ་:“”“མ་འམ་ o মৃত্যুরূপী ঐ জগবানকে ত্রিকালৰী কর্মসংস্কী