পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هوي ষে হেতু এহেন পদ্ধজাত অধোনিজ মৃত্যুহীন ব্ৰহ্মাও মৃত্যুগ্রস্ত হইলেন। কিন্তু যদি দেবেশ্বর রুঞ্জ প্রসন্ন হয়েম, তাহা হইলে অধোনিজ মৃত্যুহীন পুত্র তুর্লভ হুইধে না জামি কিংবা বিষ্ণু কিংবা মহাত্মা ব্ৰহ্মা কেহই বোনিজ মৃত্যুহীন পুত্রদানে সমর্থ হইবেন ন। শৈলাদি বললেন ; দয়ালু হরপতি ইকু এই কথা বলিয়া বিপ্রেগ্র পিতাকে অনুগৃহীত করত ঐরাবতারোহণে দেবগণ-পরিবৃত হইয়া গমন করিলেনঃ ৩১-৬৪ ॥ - - একচত্বারিংশ অধ্যায় সমাপ্ত । দ্বিচতুরিংশ অধ্যায় । স্থত কহিলেন;–সেই বরপ্রদ সহস্রাক্ষ গমন করিলে পর শিলাশন মহাদেবকে আরধনা করিয়া প্তাহাকে সন্তুষ্ট করিলেন। অনন্তর সেই দ্বিজশিলাদের নিরস্তুর তপস্তাতে তৎপরতা থাকায় দিব্য সহস্র বৎসর একক্ষণের স্তায় গত হইল। এরূপ একাগ্রতায় তপস্যা করিলেন যে, তাহার শরীর বীকে আবৃত হইল। তাহার শরীর আর দেখা যাইল না, কেবল কীটগণ উপরে লক্ষিত হইতে লাগিল ; ও অন্তান্ত বজ্ৰমুখ স্বচীমুখ রক্তকীটে তাহার শীর নিৰ্ম্মাংস ও রুধিরশুষ্ঠ করিয়া ফেলিল, তথাপি তিনি লক্ষ্য না করিয়া ভিত্তির স্তায় নিশ্চল ভাবে অবস্থিত রহিলেন । এইরূপে ক্রমশঃ শেষে অস্থিশেষ হইলেন, ভগবান শঙ্কর তাহ জানিতে পারিলেন, পরে তিনি স্বয়ং সেই দ্বিজস্কে স্পর্শ করিলেন। সেই দেবের স্পর্শ লাভ করিয়াই সেই ৰিঙ্গশাল্গুল শিলাদ পরিশ্রম পরিত্যাগ করিলেন। দ্বিজের এতাদৃশ তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া দেবদেব, উমা ও গণের সহিত হইয়া বলিলেন, হে জিবর! তুমি যে শঙ্করের উদ্দেশে তপস্যা করিতেছে, সেই শঙ্কর স্ট্র হইয়াছেন; হে মহামতে ! তোমার এই তপস্তায় আর কি প্রয়োজন সাধিত হইবে ? আমি তোমায় সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশাস্ত্রার্থবিশারদ পত্র প্রদান করিড়েছি। পরে শিলাশৰ উদাসী চক্ৰচুড়কে প্ৰণাম কবির নানাবিধ স্তব করত হর্ষাদ বচনে -অধোসিজমৃত্যুহীন এক পুত্র লাভ করিতে ইচ্ছা করি। ১–১ স্বও বলিঙ্গেম, অবতীর্ণ হইবার নিমিত্ত পূৰ্ব্বেত্ৰহ্ম কর্তৃক আরাধিত দেখ পরমেশ্বর এক্ষণে বলিলেন, হে তপোধন দ্বিজোত্তম। পূর্বেও জমি ব্ৰহ্মা এবং সুরোত্তমগণ ও মুনিগণ কর্তৃক অবতীর্ণ হইবার নিমিত্ত তপস্তায় আরাধিত হইয়াছি, অতএব হে মুলে! আমিই তোমার “নদী” নামে অযোনিজ পুত্র হইব, তাহাতে তুমি আমার ও জগতের পর্যাপ্ত পিতা হইবে। এই কথা বলিয়া সেই প্রণত ভাবে অবস্থিত মুনিকে উমাসঙ্গী চন্দ্রশেখর সন্তুষ্ট হইয়া সায়চিত্তে নিরীক্ষণ করত সেই স্থানেই অস্তহিত হইলেন। এইরূপে যজ্ঞবিত্তম আমার পিতা লব্ধপুত্র হইয়া যজ্ঞ করিবার নিমিত্ত যজ্ঞাঙ্গনে প্রবেশ করিলেন। র্তাহার প্রবেশের পূৰ্ব্বে সেই শস্তুর আজ্ঞাবলে আমি প্রলয়াসিমগ্রত হইয়া উৎপন্ন হইলাম। ১০-১৫ । সেই সময় পুষ্করবর্তকাদি মেঘগণ বৃষ্টি করিতে লাগিলেম। খেচর ও কিন্নরগণ গান করিতে লাগিল এবং সিদ্ধসাধ্যগণ ও উপেন্দ্র পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিলেন । তখন বাল্যবস্থাপন্ন হইয়াও আমি কাল-সূৰ্য্যসদৃশ জটামুকুটধারী, ত্রিনয়ন, চতুর্ভূজ, শূল টঙ্ক গদাধর, বজ্র, হীরক ইন্ধের পর্যন্ত আরাধ্য হইয়া আবির্ভূত হইলাম আমাকে দেখিয়া ব্ৰহ্মাদি সুরেন্দ্র ও মুনীন্দ্রগণ স্তব করিতে লাগিলেন। চতুর্দিকে তুমুল নাদ হইতে লাগিল। অপরাগণ মৃত্য করিতে লাগিল। ঋষিগণ ঋকৃ যজুঃসামসস্তৃত মহেশ্বরমন্তে স্তব করিয়া সন্তুষ্টচিত্তে প্রণাম করিতে লাগিলেন । ১৬—২০ ব্ৰহ্মা, হরি, রুদ্র, ইন্দ্র, বৃহস্পতি, মহাতেজা ভাস্কর, পবন, অনল, ঈশান নির্থতি, যক্ষ, যম, বরুণ, এবং ৰিখদেবগণ, মহাবল রুদ্র ও বসুগণ আর সাক্ষাৎ অম্বিক লক্ষ্মী, সাক্ষাৎ শচী, জ্যেষ্ঠ, দেবী সরস্বতী, অদিতি, দিতি, শ্রদ্ধা, লজ্জা, ধৃতি, মন্দা, ভদ্রা, সুরভি, সুশীলা, সুমনা প্রভৃতি দেবগণ ও বৃষেজ্ঞ, মহাতেজা ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মাত্মজ প্রভৃতি সকলে আমাকে বেষ্টন করিয়া আলিঙ্গম করত স্তব করিতে লাগিলেন । পুণ্যাঞ্জা পিতা শিলাও আমাকে তাদৃশ অদ্ভুতাকার-সম্পন্ন দেখিয় প্রীডিঙরে প্রণাম করত স্তব করিতে লাগিলেন। শিলাদ কহিলেন, হে ভগধম্ অব্যয় দেবদেবেশ ত্রম্বক ! আপনি আমার পুত্র হুইয়াছেন, অতএব আপনি যে হেতু জগতেরও ভ্রাত, সুতরাং আমাকেও যে দুঃখ হে সৰ্ব্বৰ্গ পুত্র। তুমি যে হেতু জগতের রক্ষক, তখন আমারও পিঙ্গ। হে অযোনিজ জগথোন! হে পিতামহ জগৎপিতঃ জগঞ্জেরা মহেশীল।