পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। অসক্ত, তখন আমি জনিব কিরূপে –হে জগদীশ্বর ! আপনাকে নমস্কার । বিষ্ণু হাঙ্ক করিয়া ধ্রুবকে বলিলেন, বৎস। এস ; তোমার নাম ধ্রুব ; তুমি ধ্রুবস্থান লাভ করিয়া জ্যোতিশচক্রের অগ্রগণা হইবে । তুমি জননীর সহিত সেই জ্যোতিস্থান লাভ করিবে। আমার এই ধ্রুবস্থান, নিত্য পরম সুশোভন। দেবদেব শঙ্করকে তপস্যায় আরাধনা করিয়া তাহার প্রসাদে by 愛 তেজঃসম্পন্ন সেই বিপ্রগণ, সৃষ্টির জন্য সমবেত হইলে, নারদ, আবার তাহাদিগকে বলিলেন, লিঙ্গশরীরের সম্পূর্ণ পরিমাণ এবং ভ্রাতৃগণের অনুসন্ধান করিয়া আসিয়া বিশেষরূপে সৃষ্টি করবে। শবলুথগণও সেই পথ অবলম্বন করিয়া ভ্রাতৃগণের অবস্থা প্রাপ্ত হইলেন। ১—১০ তাহারাও এইরূপে নিরুদেশ হইলে প্রজাপতি প্রচেতস দক্ষ, বৈরণীর গর্ভে এইস্থান প্রাপ্ত হই। যে জ্ঞানী ব্যক্তি ‘ওঁ নমো | ষষ্টি কষ্ঠ উৎপাদন করিলেন। অনন্তর তিনি ধৰ্ম্মকে ভগবতে বাসুদেবায়” এই মন্ত্র জপ করেন, তাহার ধ্রুবলোক প্রাপ্তি হয়। ( মার্কণ্ডেয় বলিয়াছিলেন ) অনন্তর, দেবগণ, গন্ধৰ্ব্বগণ, সিদ্ধগণ ও মহর্ষিগণ সকলে বিষ্ণুর আজ্ঞাক্ৰমে ধ্রুব ও ধ্রুবজননীকে সেই স্থানে নিবেশিত করিলেন। এইরূপে মহাতেজ ব্রুব, দ্বাদশাক্ষরমন্ত্রপ্রভাবে দুর্লভু জ্যোতিলোক লাভ করেন। ( স্থত কহিলেন) ধ্ৰুব যেরূপে মহাসিদ্ধি লাভ করেন, তাহ! এই আমি তোমাদিগের নিকট কহিলাম। যে মানব, বামুদেবকে প্রণাম করে, সে ধ্রুবসালোক্য এবং ধ্রুবের স্থায় চিরস্থায়িত্ব লাভে সমর্থ হয় । ৩২-৪২ { দ্বিষষ্টিতম অধ্যায় সমাপ্ত। ত্ৰিষষ্টিতম অধ্যায় । ঋষিগণ বলিলেন,—মৃত । আজ আমাদিগের নিকট দেব, দানব, গন্ধৰ্ব্ব, উরগ ও রাক্ষসগণের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উৎপত্তি-বিবরণ যথাক্রমে কীৰ্ত্তন করুন। স্থত বলিলেন, কথিত আছে পূৰ্ব্ব প্রজাপতিগণ, সঙ্কল্প, দর্শন ও স্পর্শদ্বারা স্বষ্টি করিতেন, প্রচেতস দক্ষ হইতেই মিথুন-সংসর্গ-সম্ভূত স্থষ্টি। দক্ষ যখন, পূৰ্ব্বনিয়মানুসারে দেবগণ, ঋষিগণ এবং পন্নগণের স্বষ্টি করিতে থাকিলেও প্রজাবৃদ্ধি হইল না, তখন তিনি মৈথুনযোগে নিজ ভাৰ্য্যা হুতির ( প্রস্তুতি) গর্ভে পঞ্চসহস্র পুত্র উৎপাদন করিলেন। নারদ, সেই সকল দক্ষ-নমান মহাভাগ হর্ষার্থগণকে বিবিধ প্রজা স্বজন অভিলাষে সমাগত দেখিয়া বলিলেন ; অহে মুনিবরগণ! লিঙ্গশরীরের বিস্তার আদি-জন্তু সম্পূর্ণভাবে জানিবার পর তোমরা বিশেষরূপে স্বষ্টি করিও। হর্ধ্যর্থগণ, নারদের কথা শুনিয়া চতুর্দিকে গমন করিলেন। স্বেরূপ নদীগণ, সমুদ্র হইতে প্রতিনিবৃত্ত হয় না, তদ্রুপ র্তাহারাও অদ্যপি প্রতিনিবৃত্ত হন নাই। হর্ষার্থগণ এইরূপে নিরুদেশ হইলে, প্ৰভু দক্ষ প্রজাপতি, স্থতির গর্ভে পুনরায় সহস্রপুত্র উৎগল্প করিলেন শবলাখ স্নামে খ্যাত সূর্ঘ্যের ভাল্প দশ, কগুপকে ত্রয়োদশ, চমকে সপ্তবিংশতি, অরিষ্ট- • নেমিকে চার, বহুপুত্রকে দুই, জ্ঞানী কুশাশ্বকে দুই এবং অঙ্গিরাকে দুই কন্ত প্রদান করেব। প্রথমে প্রজাবিস্তার র্যাহাদিগের দ্বারা হইয়াছে, সেই দেবমাতা দক্ষতনয়াগণের সবিস্তারে নাম শ্রবণ করুন । মরুত্বর্তী, বহু, যমী, লম্বা, ভানু, অরুন্ধতী, সঙ্কল্প, হূৰ্ত্ত, সাধ্য এবং বিশ্ব ইছর ধৰ্ম্মের পত্নীবালয় আখ্যাত ; ইষ্টাদিগের পুত্রের কথা আপনাদিগকে বলিতেছি। বিশ্বার গর্ভোস্তব বিশ্বদেবগণ, সাধ্য সাধ্যগণকে প্রসব করেন। মরুত্বতীর গর্ভে মরুত্বানগণ, বসু হইতে বসুগণ, ভানু হইতে স্বাদশ স্থৰ্য্য, মুহূৰ্ত্তার গর্ভে মুহূৰ্ত্তাধিষ্ঠাতা দেবগণ এবং লম্বা হইতে ঘোষাধিষ্ঠাত দেবগণের উৎপত্তি । নাগবীথির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা, যামি হইতে উৎপন্ন ; অরুন্ধতীর গর্ভুে পৃথিবীবাসী সকল জাতীর চরাচর প্রাণীর উৎপত্তি। সঙ্কল্লার গর্ভে সঙ্কল্পের জন্ম। বস্হটির কথা বলতেছি শ্রবণ কর। যে সকল দেবগণ, সৰ্ব্বদিগ্ধ্যাপী জ্যোতিষ্মান এবং সৰ্ব্বভূতহিতৈষী, তাহারা বহুৱামে খ্যাত। আপ, ধ্রুব, সোম, ধর, অনিল, অমল, প্রত্যুষ এবং প্রভাস ইহারা অষ্টবুহু নাকে কীর্তিত অজ, একপাং অহিব্রপ্প, বিরূপাঙ্ক, ভৈরব, হুর, বহুরূপ দেবশ্রেষ্ঠ স্ত্র্যম্বক, সাৰিত্ৰ, জয়ন্ত এবং অজেয় পিনাকী এই একাদশ জন গণাধিপতি রুদ্র নামে আখ্যাত। ' কগুপ ভাৰ্য্যাদিগের পুত্র পৌত্রের কথা বলতেছি। অদিতি, দিতি, অরিষ্ট, হুরসা, মুনি, মুরভি, বিনত, তাম্রা, ক্রোধবশ, ইল, কঙ্ক, ত্বিষ, এবং দন্তু এই ত্রয়োদশ জন কগুপপত্নী। আপনাদিগের নিকট ইহাঙ্গের, পুত্ৰ সকলের মাম কীৰ্ত্তন করিতেছি। অদিতির দ্বাদশ পুত্র যে দেবগণ চক্ষুষ ময়ুস্তরে ভূষিত নামে অভিহিত হন, বৈষম্বত মন্বন্তরে তাহারাই স্বাদশ আদিত্য । ইন্ধ, ধাত, ভগ, ত্বষ্ট, মিত্র, বরুণ, অধ্যম, বিবঙ্গাল, গতি, ' পূষা, অংশুমান এবং বিষ্ণু এই দ্বাদশ জন অদিতি-, মদনই সহস্রকিরণ স্বৰ্য্য। ( অদিতির পুত্র বলিয়। ইহুদিগের নাম আদিত্য)। দিতি কগুপের ঔরসে