বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

কেশদাম আলুলায়িত, অর্ধদগ্ধ। তাহার বস্ত্র উন্মুক্ত, তাহার হস্ত প্রসারিত, তাহার আত্মরক্ষা করিবার জন্য তাহার নিজের আর কোন ক্ষমতাই নাই। তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া সুরেশ মূহুর্ত মধ্যে তাহা বুঝিলেন তিনি একবার ফিরিয়া গবাক্ষর দিকে চাহিলেন —দেখিলেন ধূ ধূ করিয়া গবাক্ষ জ্বলিতেছে — সে পথে বহির্গত হইয়া যাইবার আর উপায় নাই। —তিনি ব্যকুলে গৃহের চারিদিকে চাহিলেন,কোন দিক দিয়া বাহির হইবার উপায় নাই;—অগ্নি ঘোর রোলে চারিদিক ঘেরিয়াছে। তখন সুরেশ অনন্যোপায় হইয়া সবশে সেই গবাক্ষে পদাঘাত করিলেন; —ভীম পদাঘাতে সেই অর্দ্ধ দগ্ধ গবাক্ষ মহাশব্দে খসিয়া নীচে গিয়া পড়িল। তিনি নিমেষ মধ্যে রমণীকে ক্রোড়ে তুলিলেন, নিমেষ মধ্যে ভগ্ন গবাক্ষমুখে আসিলেন,—কিন্তু একি সর্বনাশ। জানালার সঙ্গে সঙ্গে আঘাত লাগিয়া মইও নিম্নে পতিত হইয়াছে।

 তিনি চীৎকার করিয়া নিম্নস্থ লোকদিগকে আবার প্রাচীরে মই লাগাইতে বলিলেন। গোলযোগে ও লোকের কোলাহলে প্রথমে তাঁহার কথা কেহ শুনিতে পাইল না।—তিনি তখন মহা চীৎকার করিতে লাগিলেন। যখন নিম্ন লোকেরা তাহাকে দেখিল ও তাহার কথা বুঝল, তখন তাহারা তৎক্ষণাৎ মই লাগাইয়া দিল এবং ১০ জনে সবলে সেই মই চাপিয়া রাখিল। সুরেশ অতি কষ্টে রমণীকে ক্রোড়ে লইয়া মই অবলম্বনে ক্রমে নিম্নের দিকে আসিতে লাগিলেন। যখন অর্ধেক নামিয়াযেন তখন সহসা মই ভাঙ্গিয়া গেল, তিনি রমণী সহ নিয়ে পড়িলেন। কি্নতুত নিম্নস্থ লোকেরা ছুটিয়া গিয়া তাহাদের উভয়