পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ব্রেজিল।
১৬৭

করিতে পারিতেন। এই সময়ে তিনি ইংরাজী, জার্ম্মাণ, স্পেনীয়, ফ্রেঞ্চ, পর্টুগিজ, ইটালিয়ন, ডানিস ও ডাচ্ এই সাতটী ভাষায় অনায়াসে অতি সুন্দর কথাবার্তা কহিতে পারিতেন। আমি পূর্বেই বলিয়াছি যে অবসর পাইলেই তিনি পাঠে মনোযোগী হইতেন। অঙ্কশাস্ত্র, দর্শন ও রসায়ন তাঁহার বিশেষ প্রিয় ছিল; এই সকল শাস্ত্রে তিনি যে সাতিশয় দক্ষ হইয়াছিলেন সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই; কারণ এই সময়ে তিনি নানা স্থানে এই সকল বিষয়ে বিশেষ পাণ্ডিত্য সহকারে বক্তৃতা প্রদান করিয়াছিলেন। নানা সম্বাদপত্রে তাঁহার এই সকল বক্তৃতায় বিশেষ প্রশংসাও প্রকাশ হইয়া ছিল। অভিনিবেশ থাকিলে শিক্ষার সময় কখনও শেষ হয় না এবং প্রতিভা ও আন্তরিক অনুরাগ থাকিলে অভীষ্টপথে অগণ্য বিঘ্ন অন্তয়ার যে অচিয়েই অন্তর্হিত হইয়া যায়, সুরেশচন্দ্রের জীবনের লক্ষ্য করিলে তাহা স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। আমরা একে একে দেখাইব, কত প্রতিকূলতা অতিক্রম করিয়া তিনি পরিশেষে ব্রেজিলে আপনার অবস্থিতির উপায় করি লইয়াছেন।

 ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে তিনি ব্রেজিলের রাজধানীতে আসিলেন, ব্রেজিলদেশ তাহার বড়ই ভাল লাগিয়াছিল;—ইহার প্রাকৃতিক শোভা দেখিয়া সুরেশ মুখ হইলেন,—তিনি এই দেশে বাস করিতে মনে মনে স্থিরসঙ্কল্প করিলেন। ঐকান্তিক অভিলাষ প্রায়ই অপূর্ণ থাকে না। তাঁহার এ ইচ্ছা পূর্ণ হইবার সুবিধাও ঘটিল-এই সময়ে ব্রেজিল দেশের রাজকীয় পশুশালায় পরিদর্শক ও রক্ষকের পদ শূন্য হই-