পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

অতি ভয়ানক হইয়া উঠিল। উভয়দিক্‌ হইতে আক্রান্ত হইয়া তাঁহারা নিতান্তই বিপর্য্যন্ত হইয়া পড়িলেন।—একে যোর অন্ধকার রাত্রি তাহাতে শত্রু পরিবেষ্টিত, কে শত্রু কে মিত্র তা নির্ণয় করা অসম্ভব। বিদ্রোহী সৈন্যগণ কামান লইয়া ব্রেজিলদেশীয় সৈন্যগণকে বিপন্ন করিয়া তুলিল। তিন ঘণ্টা কালব্যাপী এই রূপ তুমুল সংগ্রাম চলিল। উভয় পক্ষেই শতশত হত ও আহত হইল। বিদ্রোহী সৈন্যগণ ক্ষিপ্তের ন্যায় নাথেরয়ের রক্ষকদিগকে এরূপভাবে আক্রমণ করিল যে, তাহাদিগের প্রাণ রক্ষা করিয়া তথা হইতে অবসৃত হওয়া দুরূহ হইয়া পড়িল। এইরূপে যুদ্ধজয়ের আশার সম্পূর্ণ হতাশ হইয়া প্রধান সেনাপতি নিজের সৈনিকদল মধ্য হইতে এক্ষণে হেহ যদি এই অসমসাহসিক কার্য্য করিতে প্রস্তুত থাকেন তাহার জন্য অহ্বান করিলেন। বিদ্রোহীগণ নগরের এক দিক অধিকার করিয়াছিল, তাহাদিগকে তথা হইতে দূরীভূত করিতে না পারিলে নগর রক্ষার আর কোন আশাই নাই। অথচ সেই কার্য্য সুসম্পন্ন করিবার জন্য অধিক সংখ্যক সেনা প্রেরণ করিবার উপায়ও তাঁহার ছিল না। কেবল মাত্র ৫০ জন সৈন্য লইয়া কোন সেনানায়ক এই দুঃসাহসিককার্য্য করিতে সক্ষম কি না ইহাই তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন; সর্ব্বাগ্রে সুৱেশ অতি আনন্দের সহিত এই কার্য্য করিতে প্রস্তুত বলিয়া জ্ঞাপন করিলেন; এবং সঙ্গে কোবল মাত্র ৫০ জন সৈনিক লইয়া শত্রুদিগকে দূরীভূত করিতে অগ্রসর হইলেন। ঘোর অন্ধকার রাত্রি, চন্দ্রমা ক্রমে মলিন হইয়া আসিতেছেন, এই সময়ে ঐ ৫০ জন সাহসী বীর লইয়া সুরেশ ভগ্নবশেষ নাথেরয় নগর হইতে বহির্গত হইয়া যে স্থানে বিদ্রোহী সেনাগণ