‘সর্ব্ব প্রকৃতির শক্তি তুমি’ কহে বেদ॥
নিখিল ব্রহ্মাণ্ডে পরিপূর্ণ তুমি মাতা।
কে তোমার স্বরূপ কহিতে পারে কথা॥
তুমি ত্রিজগত-হেতু গুণত্রয়ময়ী।
ব্রহ্মাদি তোমারে নাহি জানে, জানে কোই॥
সর্ব্বাশ্রয়া তুমি সর্ব্ব জীবের বসতি।
তুমি আদ্যা অধিকায়া পরমা প্রকৃতি॥
জগত আধার তুমি দ্বিতীয়-রহিতা।
মহী রূপে তুমি সর্ব্ব-জীব-পালয়িতা॥
জলরূপে তুমি সর্ব্ব জীবের জীবন।
তোমা’ স্মরিলে খণ্ডে অশেষ-বন্ধন॥
সাধুজন গৃহে তুমি লক্ষ্মী মূর্ত্তিমতী।
অসাধুর ঘরে তুমি কালরূপাকৃতি॥
তুমি সে করাহ ত্রিজগতে সৃষ্টি-স্থিতি।
তোমা না ভজিলে পায় ত্রিবিধ দুর্গতি॥
তুমি শ্রদ্ধা বৈষ্ণবের সর্ব্বত্র উদরা।
রাখহ জননি, চরণের দিয়া ছায়া॥
তোমার মায়ায় মগ্ন সকল সংসার।
তুমি না রাখিলে মাতা! কে রাখিবে আর॥
সভার উদ্ধার লাগি তোমার প্রকাশ।
দুঃখিত জীবেরে মাতা! কর নিজ দাস।
ব্রহ্মাদির বন্দ্য তুমি সর্ব্ব-ভূতবুদ্ধি।
তোমা’ স্মরিলে সর্ব্ব মন্ত্রাদির শুদ্ধি॥’’
পাতা:লেফ্টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৪১
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবদ্বীপ ও নবদ্বীপবাসী।
১৭