বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

আছে, কিন্তু অগণ্য পতি পুত্র হীনা রমণীর হৃদয়ভেদী রোদন রোল নাই। রক্ষরমণীর এই পরম হিতকর অনুষ্ঠান এক্ষণে কর্ম্মহীন বঙ্গবাসীর কর্ম্মসাধনা দাঁড়াইয়াছে।

 সে যাই হউক অল্প দিবসে গিরিশ বাবু কলিকাতায় একখানি বাড়ী ক্রয় করিয়া সপরিবারে কলিকাতায় আসেন। সুরেশচন্দ্রকে কলিকাতায় বিদ্যালয়ে ভর্ত্তি করিয়া দেন। কিন্তু মস্তিষ্ক পরিচালনা অপেক্ষা শরীর পরিচালনার দিকেই সুরেশ চন্দ্রের আন্তরিক অনুরাগ; কলিকাতায় অবস্থানকালে নানা লোকের নিকট বিবিধ বীরকাহিনী শুনিবারও বিলক্ষণ সুযোগ ঘটিয়াছিল। অন্তরের অন্তরতম কক্ষে সেই সকল বীরবিক্রম অঙ্কিত হইতে লাগিল। তখন ক্রীড়াস্থলে আপন সঙ্গী সেনা লইয়া সুরেশচন্দ্র মধ্যে মধ্যে সমরাভিনয় করিতে লাগিলেন। বালকেরা দল বাঁধিয়া বাহির হইয়া দুইদলে বিভক্ত হইত। বৃক্ষ বা কোন মৃত্তিকাস্তূপ তাহাদের দুর্গ হইত এবং সেই দুর্গাধিকার উপলক্ষে উভয় দলে সমরাভিনয় হইত। যেরূপ নেপোলিয়ন গোলার পরিবর্তে বরফখণ্ড লইয়া বাল্যখেলা খেলিতেন, আমাদের সুরেশচন্দ্রও তদ্রুপ এখানকার অনায়াস লব্ধ মৃত্তিকায় গোলায় সেই উদ্দেশ্য সাধন করিতেন।