উল্লেখযোগ্য পাঠভেদ নিয়ে দেওয়া হইল—
পৃ. ৮, ফুটনোটের তৃতীয় লাইন, “সংস্কৃত ভাষা অসভ্য ভাষা” স্থলে “সংস্কৃত ভাষা রূঢ় ভাষা” ছিল।
পৃ. ২২, পংক্তি ১৫, “যিনি আপনাকে অভ্রান্ত” স্থলে “যিনি আপনাকে সর্বজ্ঞ এবং অভ্রান্ত” কথা কয়টি ছিল।
পৃ. ২৫, তৃতীয় প্যারার পর নিম্নলিখিত প্যারা দুইটি ছিল—
তুমিই ব্রাহ্মণকুলে জন্মিয়া, ধর্ম্মশাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছিলে, সন্দেহ নাই, নহিলে নবমীতে লাউ খাইতে নাই কেন? তুমিই আলঙ্কারিক, সাহিত্যদর্পণাদি তোমারই সৃষ্টি। কিঞ্চিৎ ঘাস খাও।
তুমি সুকবি—কাদম্বরী, বাসবদত্তা প্রভৃতি উৎকৃষ্ট, জগন্মান্য কাব্য তোমারই প্রণীত। কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় থাকিয়া, তুমিই বিদ্যাসুন্দরাদি প্রণয়ন করিয়াছিলে, সন্দেহ নাই। নহিলে এজন্মে তাহাতে তোমার এত প্রীতি কেন?
পৃ. ২৫, শেষ প্যারার পর নিম্নলিখিত অংশটি ছিল—
যেমন ভগবান্ কুর্ম্মরূপে, পৃষ্ঠে পৃথিবী বহন করিয়াছিলেন, কৃষ্ণরূপে অঙ্গুলিতে গিরিবহন করিয়াছিলেন, নাগরূপে মস্তকে ধরণীর ভার বহন করিতেছেন, তেমনি তুমিও পশু, পশুরূপে মলিন বস্ত্রের ভার বহন কর। অতএব তোমারও পূজা করিব—এই ঘাস গ্রহণ কর।
তুমি বিধাতার অনুগ্রহে চতুর্ভুজ। এবং জাতিধর্ম্মবশতঃ সর্ব্বদা গোপীগণে পরিবৃত। পুচ্ছ চূড়া হইতে স্থানান্তরে গিয়াছে বটে, কিন্তু আছে। ঐ যে গর্জ্জন করিলে, ওকি বংশীরব? তুমি ভক্তের নিকট প্রকাশ করিয়া বল, আবার এ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইলে কেন?
তুমি আবার কি কংস শিশুপালাদি অসুরের বধ করিতে আসিয়াছ? কংস এখন আর নাই— তিনি একটি “আকার” প্রাপ্ত হইয়া থালা ঘটি বাটি ইত্যাদিতে পরিণত হইয়াছেন—এবার তাহাতে উচ্ছিষ্ট অন্ন খাইয়া সুখী হও। শিশুপালের উপর তোমার রাগ আছে সন্দেহ নাই; কেন না, শিশুপাল ইঁট মারিয়া সর্ব্বদা তোমার অস্থি ভাঙ্গিয়া দেয়। কিন্তু হে মহাবল! আমার পরামর্শ শুন, তাহাদিগের শারীরিক আঘাত করিও না। তুমি যে সম্বাদ পত্রের সম্পাদক হইয়া সপ্তাহে সপ্তাহে তাহাদিগকে আপন বুদ্ধি দান করিতেছ, তাহাতেই শিশুপালের সর্ব্বনাশ হইবে।
অথবা তুমি কি আবার একটা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বাঁধাইতে অবতীর্ণ হইয়াছ? এবারকার যুদ্ধ শস্ত্রে না শাস্ত্রে?
হে গর্দ্দভ! আমি অর্ব্বাচীন, কি বলিতে কি বলিলাম, তুমি আমার উপর রাগ করিও না। যিনি জগতের আরাধ্য, তিনি সকল ভূতেই আছেন, এজন্য আমি তোমারও পূজা করিলাম। অন্য লোকে যদি মনুষ্য পূজা করিতে পারে, তবে আমি তোমার পূজা না করি কেন? তুমি কি “Grand etre” ছাড়া?