পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রাম্যসাহিত্য X > (t সোনার বিজটা শোভে হাতে তাড়বালা । গলে শোভে পঞ্চরত্ন তক্তি কণ্ঠমালা । চরণে শোভিছে রাইয়ের সোনার নৃপুর। কটিতে কিংকিণী সাজে, বাজিছে মধুর । চিস্তা নাই চিন্তা নাই বিশাখা এসে বলে । ধবলীর বৎস একটি তুলে লও কোলে । সখীরা সব দধির ভাণ্ড মাথায় এবং রাধিক ধবলীর এক বাছুর কোলে লইয়া গোয়ালিনীর দল ব্রজের পথ দিয়া শু্যাম-দরশনে চলিল। কৃষ্ণ তখন রাধিকার রূপ ধ্যান করিতে করিতে অচেতন । সাক্ষাতে দাড়ায়ে রাই বলিতেছে বাণী— কী ভাব পড়িছে মনে শু্যাম গুণমণি । যে ভাব পড়েছে মনে সেই ভাব আমি । রাধিক সগর্বে সবিনয়ে কহিলেন, তোমারই অস্তরের ভাব আমি বাহিরে প্রত্যক্ষ বিরাজমান । গাও তোলো চক্ষু মেলো ওহে নীলমণি । কাদিয়ে কাদাও কেন, আমি বিনোদিনী ॥ অঞ্চলেতে ছিল মালা দিল কৃষ্ণের গলে । রাধাকৃষ্ণের যুগল মিলন ভাওঁীরবনে ॥ ভাণ্ডীরবনবিহারীর সাজ সম্পূর্ণ হইল ; স্ববলের হাতের কাজ সমাধা হইয়া গেল। ইহার মধ্যে বিশেষ করিয়া বাংলার গ্রাম্যদৃশু গৃহচিত্র কিছুই নাই । গোয়ালিনীরা যেরূপ সাজে নূপুর কিংকিণী বাজাইয়া, দধি মাথায়, বাছুর কোলে বনপথ দিয়া চলিয়াছেন, তাহা বাংলার গ্রামপথে প্রত্যহ অথবা কদাচিৎ দেখিতে পাওয়া যায় না। রাখালের মাঠের মধ্যে বটচ্ছায়ায় অনেকরকম খেলা করে, কিন্তু ফুল লইয়া তাহদের ও তাহাদিগকে লইয়া ফুলের এমন মাতামাতি শুনা