পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X&p 평 লোকসাহিত্য হইয়া উঠিয়াছে, তাহাও বলিতে পারি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির মর্যাদা অপেক্ষা সত্যের মর্যাদা রক্ষার প্রতি কবির অধিক লক্ষ দেখা যাইতেছে। তাও ঠিক বলিতে পারি না । বোধ করি ইহাও স্বপ্নের মতো । বোধ করি শালিধানের চি’ড়া দেখিতে দেখিতেই পরমুহূর্তে বিন্নিধানের খই হইয়া উঠিয়াছে। বোধ করি শিবু ঠাকুরও কখন এমনি করিয়া শিৰু সদাগরে পরিণত হইয়াছে কেহ বলিতে পারে না । শুনা যায়, মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষমধ্যে কতকগুলি টুকরা গ্রহ আছে। কেহ কেহ বলেন, একখানা অস্তি গ্রহ ভাঙিয়া খণ্ড খণ্ড হইয়া গিয়াছে। এই ছড়াগুলিকেও সেইরূপ টুকরা জগৎ বলিয়া আমার মনে হয়। অনেক প্রাচীন ইতিহাস প্রাচীন স্মৃতির চুর্ণ অংশ এই-সকল ছড়ার মধ্যে বিক্ষিপ্ত হইয়া আছে, কোনো পুরাতত্ত্ববিৎ আর তাহাদিগকে জোড়া দিয়া এক করিতে পারেন না, কিন্তু আমাদের কল্পনা এই ভগ্নাবশেষগুলির মধ্যে সেই বিস্মৃত প্রাচীন জগতের একটি স্বদূর অথচ নিকট পরিচয় লাভ করিতে চেষ্টা করে । অবশু, বালকের কল্পনা এই ঐতিহাসিক ঐক্য-রচনার জন্য উৎসুক নহে । তাহার নিকট সমস্তই বর্তমান এবং তাহার নিকট বর্তমানেরই গৌরব । সে কেবল প্রত্যক্ষ ছবি চাহে এবং সেই ছবিকে ভাবের অশ্রাম্পে ঝাপসা করিতে চাহে না । নিম্নোদধূত ছড়াটিতে অসংলগ্ন ছবি যেন পাখির বাকের মতো উড়িয়া চলিয়াছে। ইহাদের প্রত্যেকের এই স্বতন্ত্র দ্রুতগতিতে বালকের চিত্ত উপযুপরি নব নব অঘিাত পাইয়া বিচলিত হইতে থাকে। নোটন নোটন পায়রাগুলি বোটন রেখেছে। বড়ো সাহেবের বিবিগুলি মাইতে এসেছে । দু পারে দুই রুই কাৎলা ভেসে উঠেছে। দাদার হাতে কলম ছিল ছুড়ে মেরেছে ।