পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৯১

কি রূপ লাবণ্যের মাধুরী! কি অঙ্গসৌষ্ঠব! কি অমায়িক ভাব! মুখারবিন্দে কি সলজ্জ ভাব প্রকাশ পাইতেছে! রাজা কহিলেন সখে! তুমি প্রিয়াকে দেখ নাই এই নিমিত্ত আমার চিত্রনৈপুণ্যের এত প্রশংসা করিতেছ। যদি তাঁহাকে দেখিতে, চিত্র দেখিয়া কখনই সন্তুষ্ট হইতে না। তাঁহার অলৌকিক রূপ লাবণ্যের কিঞ্চিৎ অংশ মাত্র এই চিত্রফলকে আবিভূত হইয়াছে। এই বলিয়া পরিচারিকাকে কহিলেন চতুরিকে! বর্ত্তিকা ও বর্ণপাত্র লইয়া আইস। অনেক অংশ চিত্রিত করিতে অবশিষ্ট আছে।

 এই বলিয়া চতুরিকাকে বিদায় করিয়া রাজা মাধব্যকে কহিলেন সখে! আমি স্বাদু শীতল নির্ম্মল জলপূর্ণ নদী পরিত্যাগ করিয়া এক্ষণে শুষ্ককণ্ঠ হইয়া মৃগতৃষ্ণিকায় পিপাসা শান্তি করিতে উদ্যত হইয়াছি। প্রিয়াকে সাক্ষাৎ পাইয়া পরিত্যাগ করিয়া, এক্ষণে চিত্রদৰ্শন দ্বারা চিত্ত বিনোদনের চেষ্টা পাইতেছি। মাধব্য কহিলেন বয়স্য! চিত্রফলকে আর কি লিখিবে?। রাজা কহিলেন বয়স্য! তপোবন ও মালিনী নদী লিখিব; যেরূপে হরিণ গণকে তপোবনে সচ্ছন্দে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে এবং হংস গণকে মালিনীতে জলক্রীড়া করিতে দেখিয়াছিলাম সে সমু-