পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৯৯

স্তর, কিঞ্চিৎ নিকটবর্ত্তী হইয়া, সেই শিশুকে নিরীক্ষণ করিয়া, স্নেহরসপরিপূর্ণ চিত্তে কহিতে লাগিলেন আপন ঔরস পুত্রকে দেখিলে মন যেরূপ স্নেহরসে আর্দ্র হয়, এই শিশুকে দেখিয়া আমার মন সেইরূপ হইতেছে কেন?। অথবা, আমি পুত্রহীন বলিয়াই, এই সৰ্বাঙ্গসুন্দর শিশুকে দেখিয়া, আমার মনে এরূপ প্রগাঢ় স্নেহরসের আবির্ভাব হইতেছে।

 এ দিকে, সেই শিশু সিংহশাবকের উপর অত্যন্ত উৎপীড়ন আরম্ভ করাতে, তাপসীরা কহিতে লাগিলেন বৎস! এই সকল জন্তুকে আমরা আপন, সন্তানের ন্যায় স্নেহ করি; তুমি কেন অকারণে উহাকে ক্লেশ দাও। আমাদের কথা শুন, ক্ষান্ত হও, সিংহশিশুকে ছাড়িয়া দাও; ও আপন জননীর নিকটে যাউক। আর যদি তুমি উহাকে ছাড়িয়া না দাও, সিংহী তোমাকে-জব্দ করিবেক। বালক শুনিয়া, কিঞ্চিম্মাত্রও ভীত না হইয়া, সিংহশাবকের উপর পূর্ব্বাপেক্ষায় অধিকতর উপদ্রব আরম্ভ করিল। তাপসীরা ভয় প্রদর্শন দ্বারা তাহাকে ক্ষান্ত করা অসাধ্য বুঝিয়া, প্রলোভনার্থে কহিলেন বৎস! যদি তুমি সিংহশিশুকে ছাড়িয়া দাও,তোমাকে একটা ভাল খেলানা দি।

 রাজা, এই কৌতুক দেখিতে দেখিতে, ক্রমে ক্রমে