পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
১০৩

রাজা, সেই বালককে ক্ষত্রিয়সন্তান নিশ্চয় করিয়া, জিজ্ঞাসিলেন এই বালক যদি ঋষিকুমার না হয়, কোন ক্ষত্রিয় বংশে জন্মিয়াছে, জানিতে ইচ্ছা করি। তাপসী কহিলেন মহাশয়! এ পুরুবংশীয়। রাজা শুনিয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন আমি যে বংশে জন্মিয়াছি ইহারও সেই বংশে জন্ম। পুরুবংশীয়দিগের এই রীতি বটে; তাঁহারা, প্রথমতঃ অশেষ সাংসারিক সুখভোগে কাল যাপন করিয়া, পরিশেষে সস্ত্রীক হইয়া অরণ্যবাস আশ্রয় করেন।

 অনন্তর তাপসীকে জিজ্ঞাসিলেন এ দেবভূমি; মানুষে ইচ্ছা করিলেই এ স্থানে আসিতে পারে না। অতএব এ বালক কি সংযোগে এখানে আসিল?। তাপসী কহিলেন ইহার জননী অপ্সরা সম্বন্ধে এখানে আসিয়া এই সন্তান প্রসব করিয়াছেন। রাজা শুনিয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন পুরুবংশ ও অপ্সরাসম্বন্ধ এই দুই কথা শুনিয়া, আমার হৃদয়ে পুনর্ব্বার আশার সঞ্চার হইতেছে। যাহা হউক, ইহার পিতার নাম জিজ্ঞাসা করি, তাহা হইলেই সন্দেহ ভঞ্জন হইবেক।

 এই বলিয়া তাপসীকে পুনর্ব্বার জিজ্ঞাসিলেন আপনি জানেন এই বালক পুরুবংশীয় কোন রাজার পুত্র। তখন তাপসী কহিলেন মহাশয়! কে সেই ধর্ম্মপত্নীপরিত্যাগী