বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৮১

বলেন এ কথা বলি কেন; সিদ্ধ পুরুষেরা কহিয়াছেন আপনকার প্রথম সন্তান চক্রবর্ত্তিলক্ষণাক্রান্ত হইবেন। যদি মুনিদৌহিত্র সেইৰূপ হন ইঁহাকে গ্রহণ করিবেন। নতুবা ইহার পিতৃসমীপ গমন স্থিরই রহিয়াছে। রাজা কহিলেন যাহা আপনাদিগের অভিরুচি। তখন পুরোহিত শকুন্তলাকে কহিলেন বৎসে! আমার সঙ্গে আইস। শকুন্তলা, পৃথিবি! বিদীর্ণ হও আমি প্রবেশ করি, আর আমি এ প্রাণ রাখিব না, এই বলিয়া রোদন করিতে করিতে পুরোহিতের অনুগামিনী হইলেন।

 সকলে প্রস্থান করিলে পর, রাজা নিতান্ত উন্মনাঃ হইয়া শকুন্তলার বিষয়ই অনন্যমনে চিন্তা করিতেছেন; এমত সময়ে “কি আশ্চর্য্য ব্যাপার! কি আশ্চর্য্য ব্যাপার!” এই আকুল বাক্য রাজার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। তখন তিনি, কি হইল! কি হইল! বলিয়া, পা্ররশ্ববর্ত্তিনী প্রতিহারীকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। পুরোহিত, সহসা রাজসমীপে আসিয়া, বিস্ময়োৎফুল্ল লোচনে আকুল বচনে কহিলেন মহারাজ! বড় এক অদ্ভুত কাণ্ড হইয়া গেল। কণ্বশিষ্যেরা প্রস্থান করিলে পর, সেই স্ত্রী অপ্সরাতীর্থের নিকট আপন অদৃষ্টকে ভৎর্সনা করিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে আরম্ভ করিল; আমনি এক জ্যোতিঃ পদার্থ স্ত্রীবেশে

১১