পাতা:শঙ্করাচার্য্য - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २ ०७ ) ১২ । বাসর। আৰ্য্যরাজ-মহিমাকীৰ্ত্তিত নাটক। "বাসর নাটকে গিরিশ বাৰু রাজার কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে যে উপদেশ গ্রথিত করিয়াছেন, এখনকার দিনে তাহা সকলেরই পাঠ করা উচিত। রাজা বিক্রমাদিত্য প্রজার হিতের জন্য, প্রজার মঙ্গলের জন্য —কত কষ্ট, কত যন্ত্রণা সহ করিয়াছেন, তাহা পাঠ করিলে শরীর রোমাঞ্চিত হয়, আর মনে হয় কি পাপে আমর। সে দিন হারাইলাম ! আমরা এই পুস্তকুখানি পাঠ করিয়া যে কতদূর প্রত হইয়াছি, তাহ বলিতে পারি না। আমাদের একজন বিলাত প্রত্যাগত সুপণ্ডিত বন্ধু এই নাটক পাঠ করিয়া বলিলেন, “It is a grand conception” ; আমাদেরও সেই মত ! এমন সুন্দর নাটকের যদি আদর না হয়, তাহা হইলে বলিব—আমাদের দুর্ভাগ্য।” বসুমতী মূল্য ॥• আ৷ ১৩। সিরাজদ্দৌলা। বিদেশী ইতিহাসে হতভাগ্য সিরাজদ্দৌলার চরিত্র বিকৃতবর্ণে চিত্রিত হইয়াছে। কিন্তু যাহারা “সিরাজের” প্রকৃত চিত্র দর্শন করিতে অভিলাষী, তাহার এই নাটক পাঠে বুঝিবেন,-“রাজ্যাভিষেকের পর সিরাজদ্দৌলার অল্পবয়স্কতাজনিত মানসিক অস্থিরতামাত্র ছিল, তাহার আর কোন দোষ ছিল না বরং তিনি দয়ার্দ্র, ক্ষমাশীল ও প্রজাহিতৈষী ছিলেন ; কেবল শত্রুপক্ষ এবং বিশ্বাসঘাতক বন্ধুবৰ্গ তাহাকে চারিদিক হইতে ব্যতিব্যস্ত করিয়া, তাহার শোচনীয় পরিণাম সাধন করিয়াছিল।’ গ্রন্থকারের পরম সুহৃৎ এবং “পলাশীর যুদ্ধ” "কুরুক্ষেত্র” প্রভৃতি কাব্যপ্রণেতা মহাকবি শ্ৰীযুক্ত নবীনচন্দ্র সেন, “সিরাজদ্দৌলা” পাঠে গিরিশ বাবুকে রেঙ্গুন হইতে যে পত্র লিখিয়াছেন, পাঠকগণের প্রতি নিমিত্ত তাহা অবিকল উদ্ধত করিলাম —