পাতা:শরৎকুমারী (সর্ব্বানন্দ রায়).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎকুমারী। >{: দিগের সম্মান স্কৃদ্ধি কর, গুৰুজনের শুশ্রুষা কর, প্রজাদিগকে পুত্রবৎ প্রতিপালন কর, দুৰ্বত্ত লোককে দমন করিয়া মুশীলকে পালন কর, ঋষি ও ব্রাহ্মণদিগকে ভক্তি প্রদর্শন দ্বারা তুষ্ট কর, আমি আশীৰ্ব্বাদ করিতেছি তুমি যুধিষ্ঠিরের ন্যায় ধৰ্ম্মপরায়ণ হইয়া, মুখে সামাজ্য ভোগ কর। এবম্প্রকার সছুপদেশ সকল শ্রবণপূৰ্ব্বক রাজা মহর্ষিকে প্রণাম করিয়া স্কন্ধাবারাভিমুখে চলিলেন। তপোবন মধ্য দিয়া যাইতে যাইতে প্রভাকর উদয় ছইল, প্রভাকরের প্রভ নব নব অকপত্রোপরি পতিত হওয়াতে, এক অনিৰ্ব্বচনীয় শোভ হইল। রাজা আশ্রমের নানা প্রকার শোভা দৰ্শন করিতে করিতে পটগৃহের নিকট পদব্রজে উপস্থিত হইলেন, সৈন্যসামন্তের রাজীকে দর্শন করিয়া আহিলা- ' দিত হইয়। বলিল, মহারাজ ! ভাস্বরের কিরণ ক্রমশঃ প্রখর হইতেছে, এক্ষণে আর বিলম্ব করিবার অবশ্যকতা নাই, ত্বরায় রাজধানীর অভিমুখে গমন করিলে ভাল হয়। রাজা এই কথা শ্রবণমাত্র অশ্বারোহণ পূৰ্ব্বক চতুরঙ্গ সৈন্য সমভিব্যাহারে গৃহাভিমুখে যাত্র করিলেন। পথিমধ্যেই মধ্যাহ্ন সময় উপস্থিত হইল। রবি গগনমণ্ডলের মধ্যভাগ হইতে অগ্নিবৎ কিরণ বিস্তার করিতে লাগিলেন । মাওঁণ্ডের উত্তাপে সৈন্যগণের গাত্র ছইতে অবিরত ঘৰ্ম্ম নিঃস্থত হইতে লাগিল,