পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের আর একটা দিক कलrाशैब्रां बांहांन- g তোমার বার্ষিক পত্রিকায় সামান্ত কিছু একটা লিখে দিতে অনুরোধ করেচ। আমার বর্তমান অসুস্থতার মধ্যে হয়ত সামান্তই একটু লেখা চলে। ভাবছিলাম সাহিত্যের ধর্শ, রূপ, গঠন, সীমানা, এর তত্ত্ব প্রভৃতি নিয়ে মাঝে মাঝে অল্প-বিস্তর আলোচনা হয়ে গেছে, কিন্তু এর আর একটা দিকের কথা প্রকাস্তে আজও কেউ বলেননি। সে এর প্রয়োজনের দিক,- এর কল্যাণ করার শক্তি সম্বন্ধে। এ-কথা বোধ করি বহু লোকেই স্বীকার করবেন যে, সাহিত্য-রসের মধ্যে দিয়ে পাঠকের চিত্তে যেমন সুবিমল আনন্দের স্বাক্ট করে, তেমনি পারে করতে মানুষের বহু অন্তর্নিহিত কুসংস্কারের মূলে আঘাত । এরই ফলে মানুষ হয় বড়, তার দৃষ্টি হয় উদার, তার সহিষ্ণু ক্ষমাশীল মন সাহিত্য রসের নূতন সম্পদে ঐশ্বৰ্য্যবান হয়ে ওঠে। 域 বাঙলাদেশের একটা বড় সমাজের মধ্যে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। সাহিত্যস্বাক্টর সঙ্গে সঙ্গে এখানে ক্ষোভ ও বেদন উত্তরোত্তর যেন বেড়ে উঠেচে বলেই মনে হয়। আমি তোমাদের মুসলমান-সমাজের কথাই বলচি। রাগের উপর কেউ কেউ ভাষাটাকে বিকৃত করে তুলতেও যেন পরাঙ্খ,খ নন, এমনি চোখে ঠেকে। অজুহাত তাদের নেই তা নয়, কিন্তু রাগ পড়লে একদিন নিজেরাই দেখতে পাবেন, অজুহাতের বেণীও সে নয়। যে-কারণেই হোক, এতদিন শুধু বাঙালাদেশের হিন্দুরাই শুধু সাহিত্যচর্চা করে এসেচেন। মুসলমান-সমাজ দীর্ঘকাল এদিকে উদাসীন ছিলেন। কিন্তু সাধনার ফল ত একটা আছেই, তাই বাণী দেবতা বর দিয়ে এসেচেনও এদেরকে। মুষ্টিমেয় সাহিত্য-রসিক মুসলমান সাধকের কথা আমি ডুলিনি, কিন্তু কোনদিনই সে বিষ্কৃত হতে পারেনি। তাই, ক্রোধের বশে তোমাদের কেউ কেউ নাম দিয়েচেন । এর হিন্থ-সাহিত্য। কিন্তু জাক্ষেপের প্রকাশ ত যুক্তি নয় ; যদিও বলা চলে, সাহিত্যিকদের মধ্যে কয়জন তাদের রচনায় মুসলমান-চরিত্র একেচেন, ক’টা জায়গায় এত বড় বিরাট সমাজের সুখ-দুঃখের বিবরণ বিবৃত করেচেন। কেমন করে তাদের সহানুভূতি পাবেন, কিসে তাদের হৃদয় স্পর্শ করবে।— স্পর্শ করেনি তা জানি, বরঞ্চ উণ্টোটাই দেখা যায়। ফলে ক্ষতি না হয়েচে তা কম নয়, এবং আজ এর একটা প্রতিকারের পথও খুঁজে দেখতে হবে। কিছুকাল পূৰ্ব্বে আমার একটি নবীন মুসলমান বন্ধু এই আক্ষেপ আমার কাছে করেছিলেন। নিজে তিনি সাহিত্যসেৰী, পণ্ডিত অধ্যাপক, সাম্প্রদায়িক মালিক ope