পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্যসংগ্ৰছ । দিবাকর তাহার প্রতিবাদ করিয়া দৃঢ়ভাবে এই কথা বলিল যে, ইহাতে তাহার সম্পূর্ণ অনিচ্ছ, এবং একান্ত বিতৃষ্ণা। যদি পূজনীয় কাহারো মন এবং মান রক্ষা করিতেই হয় ত নিতান্ত উদাসীনের মতই কৱিৰে। এই ৰলিয়া দ্বিগুণ আগ্রহের সহিত উচ্চকণ্ঠে পড়িতে আরম্ভ করিয়া দিল । কিন্তু মনকে আজ সংযমে রাখা শক্ত। সে যে খেলার মাঝখান হইতে চলিয়া আসিতেছে, যে আকাশ-যুদ্ধমের অর্ধেক গাখা মালা ফেলিয়া রাখিয় জবরদস্তি পড়া মুখস্থ করিতেছে তাহ সম্পূর্ণ করিবার স্থযোগ অহঙ্কণ ধুজিয়া ফিরিতে লাগিল। তা ছাড়া এই যে কল্পনায় বসন্ত-বাতাস এইমাত্র তাহার দেহ স্পর্শ করিয়া গিয়াছে, সে স্পর্শ কি মধুর । তাহার চতুর্দিকে যে সৌন্দর্ঘ্য-পৃষ্টি চলিতেছিল —সে কি স্বন্দর। স্বর্ঘ্যের দিকে মুখ তুলিয়া চক্ষু বুজিলেও যেমন আলোকের সঞ্চায় बिळ्जि बरन चशङ्कङ श्रख थांरक ; *छ ठेउन्नैौब ७कख ८छडेञ्च भज क्ब्रिां७ च-डे মাধুর্ঘ্যের সাড়া তেমনি করিয়া তাহার সমস্ত দেহে ধীরে ধীরে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতে जांगिण । कर्छचद्र उांशग्न बना रुहेरठ बनाउब्र, मूडै उांशंद्र चौ* श्हेरउ औभं७इ एऐब्रा জাসিতে লাগিল এবং এই সমস্ত ধং-পাকড় বাঙ্গাৰাদির মাঝখানে হঠাৎ এক সময় সে নিজেই এই নূতন খেলায় মাতিয়া গেল। তাহার চোখের স্বমুখে অসংখ্য আলো, কানের কাছে অগণিত বাস্ত ও মনের মাঝখানে একটা বিবাহের বিরাট সমাল্লোহ অবতীর্ণ হইয়া আসিল ; এবং ইহারই কেন্দ্রস্থলে সে নিজেকে বরবেশে কল্পনা কৰিয়া রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল। তাছার পরে এ পর্য্যন্ত যত কিছু সে শুনিয়াছিল, যাহা কিছু সে দেখিয়াছিল, ছায়াবাজির মত সমস্তই মনের মাঝখান দিয়া বিচিত্র বর্ণে অসম্ভব দ্রুতগতিতে ছুটিয়া চলিয়া গেল। কোথাও সে স্থির হইতে পারিল না, কিছুই ঠিকমত হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিল না, শুধু বিক্ষিত পুলকে স্বপ্নাবিক্টের মত স্তন্ধ হইয়া বসিয়া বৃছিল। বিপিনের নিমন্ত্রণ রাখিয়া আসার পরদিন আকণ্ঠ পিপাসা লইয়া সতীশচন্দ্র যখন ঘুম ভাঙ্গিয়া বিছানায় উঠিয়া বসিল, তখন বেলা দশটা। তাহার ঘর তখনও বদ্ধ। আজ সকাল হইতেই মেঘমুক্ত আকাশে রোঁয় অত্যন্ত প্রথয় হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছিল, সেই খর-উত্তাপে সমস্ত জানালা-দস্তুজা তাতিয়া উঠিয়া এই রুদ্ধ ঘরের ভিতরটা যে কিরুপ অসহ হইয়াছিল, তাহা এতক্ষণ সে নিজে টের পাইলেও তাহার সর্বশরীয় ইহার জবাবদিহি করিতেছিল । সমস্ত বিছানা ঘামে তালিয়া গিয়াছে এবং সমস্ত