পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिज्वईौब चर्षीं९ ? অর্থাৎ, ইতিপূৰ্ব্বে আরও তিনজন এই জিনিসটিই দিতে চেয়েছিলেন। তুমি নাওনি ? ন। জঙ্কাল জড় করে রাখবার মত জায়গা নেই আমার । সতীশ স্থির হইয়া বসিয়া রহিল । সাবিত্রীর বিদ্ধপের হাসি এবং কণ্ঠস্বর কিছুই তাহার লক্ষ্য এড়ায় নাই, তাই তাহার দুপুরবেলার কথাগুলোও মনে পড়িয়া গেল, এবং পড়ামাত্রই প্রেমের নদীতে জোয়ার শেষ হইয়া ভাটার টান ধরিল । সাবিত্রীর কথাগুলোকে সে তামাস বলিয়া ভুল করিল না । হঠাৎ অত্যন্ত কঠিন হইয়া বলিয়া উঠিল, তারা নিৰ্ব্বোধ । তাদের এমন বস্তু দেওয়ার প্রস্তাব করা উচিত ছিল যা বাক্সে তুলে রাখতে কারো জঙ্কাল বলে মনে হয় না । আমিও নিৰ্ব্বোধ কম নই, কেন না, আমিও ভুলেছিলাম ও-বস্তুটা তোমাদের কত অবহেলার সামগ্ৰী ! এতটা বয়সে এত বড় ভুল হওয়া জামার উচিত ছিল না । আচ্ছা, চললাম । কথাটা সাবিত্রীকে শূলের মত বিধিল । তোমাদের”বলিয়া সতীশ যে তাহাকে কাহাদের সহিত অভিন্ন করিয়৷ দেখিল, সাবিত্রীর তাহা বুঝিতে বাকী রহিল না। কিন্তু পরিহাস কলহে পরিণত হইয়া হাতাহাতির উপক্রম হইতে দেখিয়া সে চুপ করিয়া গেল। সতীশ কিন্তু থামিতে পারিল না, বলিল, শিকারী বড়শীতে মাছ গেঁথে খেলিয়ে যেমন করে আমোদ করে, এতদিন আমাকে দিয়ে বোধ করি তুমি সেই তামাসা করছিলে, -नीं ? সাবিত্রী আর সহিতে পারিল না। তড়িৎবেগে উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, বড়শীতে তোমাকে টেনেই তোলা যায়—খেলিয়ে তোলবার মত বড় মাছ তুমি নও। সতীশ নিৰ্ম্মমভাবে বিদ্রুপ করিয়া বলিল, নই আমি ? সাবিত্ৰী কহিল, না, নও তুমি । তাহার ওষ্ঠাধর কুঞ্চিত হইয়া উঠিল । সতীশের মুখের প্রতি তীব্র দৃষ্টিপাত করিয়া বলিতে লাগিল, অসচ্চরিত্র! আমার মত একটা স্ত্রীলোককে ভালবেসে ভালবাসার বড়াই করতে তোমার লজ্জা করে না ? যাও তুমি —আমার ঘরে দাড়িয়ে আমাকে মিথ্যে অপমান করো না । এই অপমানে সতীশ আরও নির্দয় হইয়া উঠিল। এবার অমার্জনীয় কুৎসিত বিস্ত্রণ করিয়া বলিল, আমি অসচ্চরিত্র ! কিন্তু সে যাই হোক সাবিত্ৰী, তোমার নামটা কিন্তু তোমার বাপ-মা সার্থক দিয়েছিলেন । সাবিত্ৰী সরিয়া গিয়া চৌকাঠ ধরিয়া ক্ষণকাল স্থির হইয়া দাড়াইয়া শুধু বলিল, যাও! তাহার মুখ ফ্যাকাণে বিবর্ণ হইয়া গিয়াছিল। সতীশ অপমান ও ক্রোধের অসহ জালায় সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করিয়া বলিল, 邨》