अप्लेब्रॉथाँ জহুরাধা মৃদ্ধ-কণ্ঠে বলিল, ক্ষমা আপনি পাবেন না। পাব না ? কেন ? এসে পৰ্য্যন্ত যে অত্যাচার করেচেন তার ক্ষমা নেই, বলিয়। সে হাসিয়া ফেলিল । প্রদীপে স্বল্প আলোকে তাহার হাসি-মুখ বিজয়ের চোখে পড়িল এবং মুহূৰ্ত্তকালের এক আজান বিশ্বয়ে সমস্ত অস্তরটা দুলিয়া উঠিয়াই আবার স্থির হইল। ক্ষণকাল নিৰ্ব্বাক্ থাকিয়া বলিল, সেই ভালো, ক্ষমায় কাজ নেই। অপরাধী বলেই যেন চিরকাল মনে পড়ে । উভয়েই নীরব। মিনিট দুই-তিন ঘরটা সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ হইয়া রহিল। নিঃশব্দত ভঙ্গ করিল অনুরাধা। জিজ্ঞাসা করিল, আপনি আবার কবে আসবেন ? মাঝে মাঝে আসতেই হবে জানি, যদিচ দেখা আর হবে না। ও-পক্ষ হইতে ইহার প্রতিবাদ আসিল না, বুঝা গেল ইহা সত্য। খাওয়া শেষ হইলে বিজয় বাহিরে যাইবার সময়ে অনুরাধা বলিল, ঝুড়িটায় অনেক রকম তরকারি আছে, কিন্তু বাইরে আর পাঠালুম না। কাল সকালেও আপনি এখানেই খাবেন । * তথাস্ত। কিন্তু বুঝেচেন বোধ করি সাধারণের চেয়ে ক্ষিদেট আমার বেশী । নইলে প্রস্তাব করতুম শুধু সকালে নয়, নেমস্তন্ত্রর মেয়াদটা বাড়িয়ে দিন ষে-কটা দিন থাকি। আপনার হাতে খেয়েই যেন বাড়ি চলে যেতে পারি। উত্তর আসিল, সে আমার সৌভাগ্য। পরদিন প্রভাতেই বহুবিধ আহাৰ্য্য-দ্ৰব্য অনুরাধার রান্নাঘরের বারান্দায় আসিয়া পৌছিল। সে আপত্তি করিল না, তুলিয়া রাখিল । ইহার পরে তিনদিনের স্থলে পাচদিন কাটিল। কুমার সম্পূর্ণ স্বস্থ হইয়া উঠিল । এই কয়দিন বিজয় ক্ষোভের সহিত লক্ষ্য করিল যে, আতিথ্যের ক্ৰট কোনদিকে নাই, কিন্তু পরিচয়ে দূরত্ব তেমনি অবিচলিত রহিল, কোন ছলেই তিলা সন্নিকটবৰ্ত্তা হইল না। বারান্দার খাবার যায়গা করিয়া দিয়া অনুরাধা ঘরের মধ্য হইতে সাজাইয়। গুছাইয়া দেয়, পরিবেশন করে সন্তোষ । কুমার আসিয়া বলে, বাবা, মাগী মা বললেন মাছের তরকারিট অতখানি পড়ে থাকলে চলবে না, আর একটু খেতে হবে। বিজয় বলে, তোমার মালীমাকে বল গে বাবাকে রাক্ষস ভাবা তার অন্যায়। কুমার ফি রিয়া רישb
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৯৭
অবয়ব