*ब्र९-नाहेिठj-भरं4ॉई হাল ধে কোনদিকে কেমন করে ঘোরাচ্চে তার দিকেও খেয়াল নেই। চালাক ছেলেটি মোটরের কলকারখানা পুরোপুরি শিখে নিলে এবং একদিন গাড়িখানা নিজের হাতে বাগিয়ে নিয়ে উৰ্দ্ধস্বরে বাণী বাজিয়ে দৌড় মাঞ্চল। গাড়ি চালাবার সখ দিন রাত এমনি তাকে পেয়ে বসল যে, বাপ আছেন কি নেই সে হসই তার রইল না। তাই বলেই তার বাপ ষে তাকে তলব করে গালে চড় মেরে তার গাড়িটা কেড়ে নিলেন তা নয়, তিনি স্বয়ং ষে রখের রথী, ছেলেও সেই রখেরই রথী, এতে তিনি প্রসন্ন হলেন । ভালমাস্থ্য ছেলেটি দেখলে ভায়াটি তার পাকা ফসলের ক্ষেত লণ্ড ভণ্ড করে তার মধ্যে দিয়ে দিনে দুপুরে হাওয়া গাড়ি চালিয়ে বেড়াচ্ছে তাকে রোখে কার সাধ্য, তার সামনে দাড়িয়ে বাপের দোহাই পাড়লে ‘মরণং ধ্রুবম্, তখনও সে বাপের পায়ের দিকে তাকিয়ে রইল, ভার বললে, আমার আর কিছুতে দরকার নেই।” এই গল্পের সার্থকতা যে কি আমি বুঝতে পারিনি। ছেলে ছুটি কে তা অনুমান করা শক্ত নয় ; কিন্তু এক ছেলের প্রতি আর এক ছেলের অকারণ দৌরাত্ম্য দেখে ষে বাপ প্রসন্ন হন তিনি যে কিরূপ বাপ তা বোঝা যায় না। তবে এ-কথা বেশ বোঝা ৰায়, এমন বাপের পায়ের দিকে যে ছেলে তাকিয়ে থাকে,—তা তিনি যত বড় রথেরই রথী হোন, তার 'মরণং ধ্রুবম্। অতঃপর কবি এই দুটি ছেলের জীবন-বৃত্তান্তও দিয়েছেন। মোটর হাকানো ছেলেটি ত ম্যাজিক থেকে বিজ্ঞানের ক্লাসে প্রমোশন পেলে, কিন্তু যে ছেলেটি ‘মরণং এবম্ব সে তার ম্যাজিক ও তন্ত্ৰ-মন্ত্র নিয়েই পড়ে রইল। এই তন্ত্ৰ-মন্ত্রের পরে কঠোর কটাক্ষ কবি পূৰ্ব্বেও করেছেন। তার ‘অচলায়তনে এ নিয়ে হাসি-তামাসা অনেক হয়ে গেছে, ধারা ওয়াকিফহাল তারা এর মীমাংসা করবেন, কিন্তু আমার মনে হয় এখানে এ সম্পূর্ণ নিম্প্রয়োজন। বিশ্ববত্তর পেছনে ষে কোন একটা অজ্ঞেয় শক্তি আছে, মানব ইতিহাসে এ একটা প্রাচীন তথ্য। এবং আজ বিংশ শতাব্দীতেও কুল-কিনারা তার তেমনি অজ্ঞাত। এই অজ্ঞেয় শক্তিকে প্রসন্ন করে কাজ আদায়ের চেষ্ট মানুষ চিরদিন করে আসছে,— আজও তার উপায় বার হয়নি ; অথচ আজও তার অবসান নেই। এই উপায় আবিষ্কারের পথে কি করে যে প্রার্থনা একদিন ম্যাজিকে অর্থাৎ মন্ত্ৰতন্ত্রে এবং ম্যাজিক আর একদিন প্রার্থনায় চেহারা বদলে দাড়ায়, এ তর্ক তুলে পুথি বাড়াতে আমার সাধ নেই। ঈশ্বরের ধারণার অভিব্যক্তির ইতিহাসের এই অংশটা বিজ্ঞানের পরিণতির প্রশ্নে আমার অপ্রাসঙ্গিক মনে হয় । 姆》●
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩২৪
অবয়ব