পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শী অীজ মিথ্যে রে তার খোঁজ-খুঞ্জি মিথ্যে চোখের জল, তারে কোথায় পাবি বল, ( তোর ) অতল তলে তলিয়ে গেল শেষ সাধনার ধন ! ভিক্ষুক-কন্যা। বাবা, চাইলে হয়ত তুমিও পাবে একখানা কাপড়, না ? দ্বিতীয় ভিক্ষুক ৷ পাবে পাবে, একটু পা চালিয়ে এসো। তোর পাওয়ার সময় ছিল যখন, ওরে অবোধ মন, মরণ-খেলার নেশায় মেতে রইলি অচেতন । [ সকলের প্রস্থান ] কথা কহিতে কহিতে ষোড়শী ও ফকিরসাহেব প্রবেশ করিলেন । ] ফকির। যে-সব কথা আমার কানে গেছে মা, চুপ করে থাকতে পারলাম না, চলে এলাম। কিন্তু আমি ত কিছুতেই ভেবে পাইনে ষোড়শী, সেদিন কিসের জন্ত ও লোকটাকে তুমি এমন করে বঁচিয়ে দিলে । * ষোড়শী । ঐ পীড়িত লোকটিকে জেলে পাঠানই কি উচিত হ’তো ফকিরসাহেব ? ফকির । সে বিবেচনার ভার ত তোমার ছিল না মা, ছিল রাজার, তাই তার জেলের মধ্যেও হাসপাতাল আছে, পীড়িত অপরাধীরও তিনি চিকিৎসা করেন । কিন্তু শুধু এই যদি কারণ হয়ে থাকে ত তুমি অন্যায় করেচ বলতে হবে । [ ষোড়শী নিঃশব্দে মুখের প্রতি চাহিয়া রহিল ] ফকির । যা হবার হয়ে গেছে, কিন্তু ভবিষ্যতে এ ক্রটি তোমাকে শুধরে নিতে হবে ষোড়শী । ষোড়শী । তার অর্থ ? ফকির । ওই লোকটার অপরাধ ও অত্যাচারের অস্ত নেই, এ তুমি জানো । শাস্তি হওয়া উচিত । ষোড়শী । ( ক্ষণেক স্তন্ধ থাকিয়া ) আমি সমস্ত জানি । তাকে শাস্তি দেওয়াই হয়ত আপনাদের কর্তব্য, কিন্তু আমার কথা কাউকে বলবার নয়। তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আমি কোনদিন পারব না। ফকির । সেদিন পারে নি সত্য, কিন্তু ভবিষ্যতেও কি পারবে না ? ষোড়শী । না । ফকির । আত্মরক্ষার জন্তেও না ? આ હર ১ ৯ম-৪