পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আমি এখন বেশ বুঝেচি, যার যা, তার তাই ভালো। তোমার মূখে সবিতা ডাক যত नश्छ-श्मब्र, ७यन अछ किहूई नग्न । বিমলবাবু হাসিয়া বলিলেন, আমার অন্তরের আনন্দ-নিঝরে যে নামের বুদবুদ্ধগুলি আপনা হতেই রামধন্থ রং নিয়ে ফুটে উঠে আপনি ভেঙে ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্চে, সেই নাম দিয়েই এবার থেকে ডাকতে অনুমতি দাও তাহলে ; কিন্তু বুদবুদের ভাঙা-গড়ার বিরাম নেই জানো তো ! জানি । তুমি কি সইতে পারবে রেণুর মা ? হোক না সে জলবিন্দুর বুদবুদ্বমাত্র, তবুও । তোমাকে হয়তো বিধবে, আমার ভয় করে । সবিতার মুখে ছায়া নামিয়া আসিল । বলিলেন, ঐ তো তোমাদের দোষ । মেয়েদের সম্পর্কে কোনদিনই সহজ হতে পারে না তোমরা। হয় অতিভক্তি অতিশ্রদ্ধায় গদগদ হয়ে বহু সম্রমে উচুতে তুলে ধরতে চাইবে, না হয় একেবারে নয়নারীর আদিম সম্পর্ক পাতিয়ে ঘনিষ্ঠত করে বসবে। পুরুষ আর নারীর মধ্যে মানুষের সহজ-সুন্দর সম্বন্ধ পাতানো যায় না সত্যিই ? বিমলবাবু শাস্ত গলায় বলিলেন, তোমার আমার সম্বন্ধের মধ্যে এ প্রশ্ন ওঠবার সময় যদিও আজও আসেনি সবিতা, তবুও তোমাকে জিজ্ঞাসা করচি, বলতে পারে কি, কেন এমন হয় ? একটু চিন্তা করিয়া সবিতা বলিলেন, ঠিক জানিনে। তবে অনুমান হয়, সমাজবিধির মনের নীচেই এর বীজ পোতা আছে হয়তো । নইলে সৰ্ব্বত্র সকলক্ষেত্রেই একই বিষময় ফল ফলে ওঠে কি করে ? দেখো, সমাজের বাইরে এসে আজ আমার চোখে সমাজের কল্যাণ ও অকল্যাণের দুটো দিকই সুস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেচে। ওর ভেতরে থাকতে এমন করে দোষ ও গুণ দুটো দিক দেখতে পাইনি ! বিমলবাবু নিবিষ্টচিত্তে সবিতার কথা শুনিতেছিলেন, নিজে কথা কহিলেন না। সবিতা বলিতে লাগিলেন, মানুষ নিজের মন নিয়ে কতই না বড়াই করে, কিন্তু কতটুকুই বা তার পরিচয় সে জানে ? জীবনের প্রতি অঙ্কে অঙ্কেই তার রূপ বদলাচ্চে । এই তো সেদিন পৰ্য্যন্ত মনে ভেবেচি, আমার মত স্বামীকে ভক্তি জগতে বুঝি আর কোনও মেয়েই কখনও করেনি। স্বামীকে আমার মত এতটা ভালবাসতেও হয়তো জন্য কোনও কেউ পারবে না। বাইরের পৃথিবী বিপরীত সংবাদ জানলেও, আমার আপন অস্তরের খবর আমি তো ভাল করেই জানি ; কিন্তু এতদিন পরে আজ লে-ধারণা বদলে গেছে আমার। আপন অন্তরের যথার্থ অর্থ এতকাল বাদে বুঝতে পারটি । 3 stky