পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ রম কহিল, মেয়েমানুষের এত বড় সৰ্ব্বনাশ যে আর নেই, সে বোঝবার তোমার সাধ্য নেই। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, এ কলঙ্ক রটিয়ে তোমার লাভ কি ? বেণী ভীত হইয়া বলিল, আমার লাভ কি হবে! লোকে যদি তোমাকে ঘুমেশের বাড়ি থেকে ভোরবেলা বার হতে দেখে—আমি করব কি ? রম সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া বলিল, এত লোকেব সামনে আমি আর বলতে চাইনে। কিন্তু তুমি মনে ক’রো না বড়দা, তোমার মনের ভাব আমি টের পাইনি। কিন্তু এ নিশ্চয় জেনো—আমি মরবার আগে তোমাকেও জ্যান্ত রেখে যাব না | আচাৰ্য্যগুছিাঁ এতক্ষণ নিশাদ কোথাৎ দাড়াইয়াছিলেন ; সরিয়া আসিয়া wর একটা বাছ ধরিয়া ঘোমটার ভিতৰ হইতে মৃত্নশ্বরে বলিলেন, পাগল হয়েচ মা, এখানে তোমাকে না জানে কে ? নিজের কন্যার উদ্দেশে বলিলেন, লক্ষ্মী, মেয়েমানুষ হয়ে মেয়েমাহুষের নামে এ অপবাদ সিমে রে, ধর্থ সষ্টবে না। আজ ইনি তোদের বে উপকার করেচেন, তোরা মানুষের মেয়ে হলে তা টের পেতিস, বলিয়া টানিয়া রমকে ঘরে লইয়া গেলেন। মচৰ্য্যগুহিণীর স্বামীর উদ্দেশে এই কঠোর শ্লেষ এবং নিরপেক্ষ সত্যবাদিতায় উপস্থিত সকলেষ্ট যেন কুষ্ঠিত হইয়া সরিয়া পড়িল । uहे धनात्र काश-द४१ य७ वफ़ ** যাই হোক, নিজের কদাকর অসংযমে রমেশের শিক্ষিত ভদ্র অন্তঃকবণ সম্পূর্ণ দুইটা দিন এমনি শঙ্কুচিত হইয়া রহিল যে, সে বাটার বাহির হইতেই পারল না। তথাপি এত লোকের মধ্য হইতে রম যে স্বেচ্ছায় তাহার লঙ্গার অংশ লইতে আসিয়াছিল, এই চিন্তাটা তাহার সমস্ত লজ্জার কালেমেঘের গায়ে দিগস্থলুপ্ত অতি ঈষৎ বিদ্যুৎফুরণের মত ক্ষণে ক্ষণে সৌন্দৰ্য্য ও মাধুর্ঘ্যের দীপ্তরেখ জাকিয় দিতেছিল! তাই তাছার গ্লানির মধ্যেও পরিতৃপ্তির আনল ছিল। এই দুখ ও মুখের বোন লইয়া সে যখন আরও কিছুদিন তাহার নির্জন গৃহের মধ্যে অজ্ঞাতবাসের সঙ্কল্প করিতেছিল, যখন তাহাকে উপলক্ষ করিয়া বাহিরে যে আর একজনের মাথার উপর নিরবচ্ছিন্ন লঙ্গা ও অপমানের পাহাড় ভাঙ্গিয়া পড়িতেছিল, তাহা সে স্বপ্নেও ভাবে নাই ! কিন্তু লুকাই থাকিবার স্বযোগ তাহার ঘটিল না। আজ বৈকালে পিরপুরের মুসলমান প্রজার জাহানের পঞ্চায়েতের বৈঠকে উপস্থিত হইবার জন্ত তাহাকে Gae জানিল। এ বৈঠকের আয়োজন রমেশ নিলেই কিছুদিন পূৰ্ব্বে করিয়া এদিছিল। সেইমত তাহারা আজ একত্ৰ হই ছোটবাবুর জন্যই অপেক্ষ 》