( & উপলক্ষমাত্র। র্তাহার পরলোকগত পত্নীকে মনে পড়ায় বলিলেন, আমি যে ভূক্তভোগী কমল, রোগে ভুগে ভুগে সে শিক্ষা হয়ে গেছে। ঘরে চল, তোমার জিনিস তুমি যা ভাল বুঝবে তাই হবে। আমি থাকতে ওষুধ-পথ্যের ক্রটি হবে না। এই বলিয়া তাহাকে পথ দেখাইয়া লইয়া চলিলেন। অজিত কি করিবে না বুঝিয়াও তাঁহাদের সঙ্গ লইল । রোগীর গৃহে পাছে গোলমালে বিশ্রামের বিঘ্ন ঘটে এই আশঙ্কায় পা টিপিয়া নিঃশব্দে সকলে প্রবেশ করিলেন। শয্যার পার্থে চৌকিতে বসিয়া মনোরম রাত্রি-জাগরণের ক্লাস্তিতে রোগীর বুকের পরে অবসন্ন মাথাটি রাখিয়া বোধ করি এইমাত্র ঘুমাইয়া পড়িয়াছে, তাহার গ্রীবার পরে পরস্পরসম্বন্ধ দুই হাত স্তন্ত রাখিয়া শিবনাথও সুপ্ত। স্বপ্নাতীত এই দৃশ্বের সম্মুখে অকস্মাৎ পিতার দুই চক্ষু ব্যাপিয়া যেন ঘনান্ধকারের জাল নামিয়া আসিল, কিন্তু মুহূৰ্ত্তকাল মাত্র। মুহূৰ্ত্ত পরেই তিনি ছুটিয়া পলাইলেন। অজিত ও কমল চোখ তুলিয়া উভয়ে উভয়ের মুখের প্রতি চাহিল, তাহার পরে যেমন আসিয়াছিল তেমনি নি:শব্দে বাহির হইয়া গেল। " جان اصح" যাতায়াতের পথের পাশেই একটা ঢাকা বারান্দ, রোগীর গৃহ হইতে বাহিরে আসিয়া অজিত ও কমল সেইখানে থামিল। একটা খৰ্ব্বাকৃতি ঘষা-কাচের লণ্ঠন ঝুলিতেছিল, তাহার অস্পষ্ট আলোকেও স্পষ্ট দেখা গেল অজিতের মুখ ফ্যাকাশে। আচম্বিতে ধাক্কা লাগিয়া সমস্ত রক্ত যেন সরিয়া গেছে। সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি কেহ নাই, তথাপি সে অনাত্মীয়া ভদ্রমহিলার উপযুক্ত সন্ত্রমের সহিত জিজ্ঞাসা করিল, আপনি কি এখন বাসায় ফিরে যেতে চান ? চাইলে আমি তার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। কমল তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া চুপ করিয়া রহিল। অজিত বলিল, এ-বাড়িতে আর ত আপনার একমুহূৰ্ত্ত থাকা চলে না। আপনার থাকা চলে ? না, আমারও না। কাল সকালেই আমি অন্যত্র চলে যাব। ቅቘፃ