শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ স্বরেণ পকেট হইতে টাইম-টেবিলধীন বাহির করিয়া গাড়ির সময়টা দেখিয়া লইয়া কহিল, তোমাকে কিছুই করতে হবে না। কিন্তু সন্ধ্যার আগে যখন কোনদিকে যাবারই উপায় নেই, তখন এইটুকু কাল আর আমাকে অবিশ্বাস করে না, এই শুধু আমি চাই। আমা হতে তোমার আর কোন অকল্যাণ হবে না, একথা তোমার मांभ कटाई यांछ श्रांग्नि भं★थं कब्रक्रेि । প্রত্যুত্তরে সে কোন কথাই কহিল না, কিন্তু সে সম্মত হইয়াছে তাহা বুঝা গেল । লোকের দৃষ্টি এবং কৌতুহল আকর্ষণ করিবার আশঙ্কায় স্টেশনে ফিরিয়া তাহার ক্ষুদ্র বসিবার ঘরে গিয়া অপেক্ষা করিতে দুজনের কাহারও প্রবৃত্তি হইল না। সন্ধান লইয়া জানা গেল, বড় রাস্তার উপরে সম্রাট শের শাহের নামে প্রচলিত সরাইয়ের অস্তিত্ব আজিও একেবারে বিলুপ্ত হয় নাই। শহরের এক প্রান্তে তাহারই একটার উদ্দেশে দু’জনে ক্ষণকালের জন্য নিজের মর্শ্বাস্তিক দুঃখ বিশ্বত হইয়া একখানা গরুর গাড়ি ভাড়া করিয়া যাত্রা করিল। পথে কেহ কাহারও সহিত বাক্যালাপ করিল না, কেহ কাহারও মুখের প্রতিও চাহিয়া দেখিল না। শুধু গো-শকট আসিয়া যখন সরাইয়ের প্রাঙ্গণে থামিল, তখন নামিতে গিয়া পলকের জন্য স্কুরেশের মুখের প্রতি অচলার দৃষ্টি পড়িয়া সে মনে মনে শুধু কেবল আশ্চৰ্য্য নয়, উদ্বিগ্ন হইল। তাহার দুই চোখ ভয়ানক রাঙা, অথচ মুখের উপর কিসে যেন কালি মাথাইয়া দিয়াছে। সংসারের অনেক ঝড়ঝাপ্টার মধ্যেই সে তাহাকে দেখিয়াছে, কিন্তু তাহার এ মূৰ্ত্তি সে আর কখনও দেখিয়াছে বলিয়া স্মরণ করিতে পারিল না । গাড়োয়ানকে ভাড়া দিয়া বিদায় করিয়া সুরেশ মনি-ব্যাগটা সেখানে রাখিয়া দিয়া বলিল, এটা আপাততঃ তোমার কাছে রইল, যদি কিছু দরকার মনে হয়, নিতে छलझ कtद्रीं न ! অচলার ইচ্ছা হইল, জিজ্ঞাসা করে, এ-কথার অর্থ কি ? কিন্তু পারিল না । স্বরেশ কহিল, এই স্বমুখের ঘরটাই সম্ভবত কিছু ভালো, তুমি একটুখানি বিশ্রাম কর, আমি পাশের কোন একটা ঘর থেকে এই জামাকাপড়গুলো ছেড়ে আলি। কি জানি, এইগুলোর জন্যেই বোধ করি এ-রকম বিত্র ঠেকচে ; বলিয়া সে অচলার স্থবিধা-অসুবিধার প্রতি আর লেশমাত্র দৃষ্টিপাত না করিয়া নিজের ব্যাগটা হাতে লইয়া ঠিক মাতালের মত টলিয়া টলিয়া বারান্দা পার হইয়া কোশের ঘরে গিয়৷ প্রবেশ করিল। সে চলিয়া গেলে অচলা একাকী পথের ধারে দাড়াইয়া থাকিতে পারিল না। তাই সে অনেক কষ্ট্রে নিজের ভারী ব্যাগটা টানিয়া সম্মুখের ঘরের মধ্যে আনিয়া శ్రీ •