পাতা:শান্তিনিকেতন (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বভাবলাভ জানি, মানুষ এরকম কৃত্রিম উপায়ে কোনো একটা হৃদয়বৃত্তিকে অতি পরিমাণে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে—কোনো একটা রসকে অত্যন্ত তীব্র করে দঁাড় করাতে পারে । কিন্তু সেইটে করাই কি সাধনার লক্ষ্য ? অনেক সময় দেখা যায় অন্ধ হলে স্পৰ্শশক্তি অতিরিক্ত বেড়ে যায়। কিন্তু সেই রকম একদিকের চুরির দ্বারা অন্যদিককে উপচিয়ে তোলাকেই কি বলে শক্তির সার্থকতা ? যেদিকটা নষ্ট হল সেদিকটার হিসাব কি দেখতে হবে না ? সেদিকের দণ্ড হতে কি আমরা নিস্কৃতি পাব ? কোনোপ্রকার বাহ ও সঙ্কীর্ণ উপায়ের দ্বারা সম্মোহনকে মেস্মেরিজিম্কে ধৰ্ম্ম সাধনার প্রধান অঙ্গ করে তুললে আমাদের চিত্ত স্বাস্থ্য থেকে স্বভাব থেকে সুতরাং মঙ্গল থেকে বিচু্যত হবেই হবে। আমরা ওজন হারাব— আমরা যেদিকটাতে এইরকম অসঙ্গত 3 *