পাতা:শান্তিনিকেতন (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নমস্তেহস্তু কথাটার কোনো মানেই থাকত না । তিনি যেমন বৃহৎ স্বৰ্য্যকে এই ক্ষুদ্র পৃথিবীর আপন করে এত লক্ষ যোজন ক্রোশের দূরত্ব ঘুচিযে মাঝখানে রয়েচেন তেমনি তিনিই নিজে এক মানুষের সঙ্গে আর এক মানুষের সম্বন্ধরূপে বিরাজ করচেন। নইলে একের সঙ্গে অারের ব্যবধান যে অনস্ত ; মাঝখানে যদি অনন্ত মিলনের সেতু না থাকৃতেন তাহলে এই অনন্ত ব্যবধান পার হতুম কি করে ! অতএব তিনি দুরূহ তত্ত্বকথা নন তিনি অত্যন্ত আপন। সকল আপনের মধ্যেই তিনি একমাত্র চিরন্তন অখণ্ড আপন। গাছের ফলকে তিনি যে কেবল একটি সত্যরূপে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছেন তা নয়, স্বাদে গন্ধে শোভায় তিনি বিশেষরূপে তাকে আমার আপন করে রেখেছেন—তিনিই আমার আপন বলে ফলকে নানা রসে আমার আপিন করেছেন—নইলে ফল নামক সত্যটিকে আমি ○○