পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরনবীনতা আঘাতের চিহ্ন নেই একটু ধূলির রেখা নেই। সে মূৰ্ত্তি চিরস্নিগ্ধ, চিরশুভ্র, চিরপ্রশান্ত । সমস্ত দিন সংসারের ক্ষেত্রে দুঃখ দৈন্ত মৃত্যুর আলোড়ন চলেইচে কিন্তু রোজ সকাল বেলায় একটি বাণী আমাদের এই কথাটিই বলে যায় যে, এই সমস্ত অকল্যাণই চরম নয়, চরম হচ্চেন শিবম্। প্রভাতে তার একটি নিৰ্ম্মল মূৰ্ত্তিকে দেখতে পাই—চেয়ে দেখি সেখানে ক্ষতির বলি রেখা কোথায় ? সমস্তই পূরণ হয়ে আছে। দেখি যে বুদ্বুদ যখন কেটে যায় সমুদ্রের তখনে কণামাত্র ক্ষয় হয় না। আমাদের চোখের উপরে যতই উলটু পালট হয়ে যাক না তবু দেখি যে সমস্তই ধ্রুব হয়ে আছে—কিছুই নড়ে নি। আদিতে শিবম্, অস্তে শিবম্ এবং অন্তরে শিবম্। সমুদ্রে ঢেউ যখন চঞ্চল হয়ে ওঠে তখন সেই ঢেউদের কাও দেখে সমুদ্রকে আর মনে থাকে না—তারাই অসংখ্য, তারাই প্রকাও, 8?