পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসের ধৰ্ম্ম নৈরাপ্ত ঘনীভূত করে তোলে । সেই সমস্ত বিঘ্নকে পুেরিয়ে সে কোথা ও একটা চরম সফলতার নিঃসংশয় মূৰ্ত্তি দেখতে পায় না। যে লোক ডুব জলে সাতার দেয়, যার কোথাও দ{ড়বার উপায় নেই, সামান্ত হাড়ি কলসি কলার ভেল তার পরমধন—তার ভয় ভাবন উদ্বেগের সীমা নেই । আর, যে ব্যক্তির পায়ের নীচে সুদৃঢ় মাটি আছে তার ও হাড়ি কলসির প্রয়োজন আছে, কিন্তু হাড়ি-ক লসি তার জীবনের অবলম্বন নয়—এগুলো যদি কেউ কেড়ে নেয় তাহলে তার যতই অভাব অসুবিধা হোক না, সে ডুবে মরবে না । এইজন্তে দৃঢ়বিশ্বাসী লোকের কাজ কৰ্ম্মে জোর অাছে, কিন্তু উদ্বেগ নেই । সে মনের মধ্যে নিশ্চয় অনুভব করে তার একটা দাড়াবার জায়গা আছে, পৌছবার স্থান আছে। প্রত্যক্ষ ফল সে না দেখতে পেলে ও সে মনে মনে জানে ফল থেকে সে বঞ্চিত হয় নি—বিরুদ্ধ ফল (ع\