পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন কঠিনতাই প্রবল হয়ে ওঠে—তার অবিচলিত দৃঢ়ত নিষ্ঠুর শুস্কভাবেই আপনাকে প্রকাশ করে । সে আপনার সীমার মধ্যে অত্যন্ত উদ্ধত হয়ে বসে থাকে ; সে অন্তকে আঘাত করে; তার মধ্যে কোনোপ্রকার নড়াচড়া নেই এইটে নিয়েই সে গৌরব বোধ করে ; নিজের স্থানটি ছেড়ে চলে না বলে কে বল সে একটা দিক্ দিয়েই সমস্ত জগৎকে দেখে, এবং যার অন্তদিকে আছে তারা কিছুই দেখ চে না এবং সমস্তই ভুল দেখচে বলে কল্পনা করে । নিজের সঙ্গে অন্যের কোনোপ্রকার অনৈক কে এই কাঠিন্ত ক্ষমা করতে জানে না ; সবাইকে নিজের অচল পাথরের চরিভিতের মধ্যে জোর করে টেনে আনতে চায়। এই কাঠিন্য মাধুর্য্যকে দুৰ্ব্বলতা এবং বৈচিত্র্যকে মায়ার ইন্দ্র জাল বলে অবজ্ঞা করে, এবং সমস্তকে সবলে একাকার করে দেওয়াকেই সমস্বয় সাধন বলে মনে করে । γ'