পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে । এই জন্তে কৃচ্ছ,সাধনকে যখন কোন ধৰ্ম্ম আপুনার প্রধান অঙ্গ করে তোলে যথন সে আচার বিচারকেই মুখ্য স্থান দেয় তখন সে মামুষের মধ্যে ভেদ আনয়ন করে ; তখন তার নীরস কঠোরত সকলের সঙ্গে তাকে মিলতে বাধা দেয়, সে আপনার নিয়মের মধ্যে নিজেকে অত্যন্ত স্বতন্ত্র করে আবদ্ধ করে’ রাখে ; সৰ্ব্বদাই ভয়ে ভয়ে থাকে পাছে নিয়মের ক্রটিতে অপরাধ ঘটে—এই জন্তেই সবাইকে সরিয়ে সরিয়ে নিজেকে বঁচিয়ে বাচিয়ে চলতে হয় । শুধু তাই নয়, নিয়মপালনের একটা অস্কার মানুষকে শক্ত করে তোলে, নিয়মপালনের একটা লোভ তাকে পেয়ে বসে এবং এই সকল নিয়মকে ধ্রুব ধৰ্ম্ম বলে জান তার ংস্কার হয়ে যায় বলেই যেখানে এই নিয়মের অভাব দেখতে পায় সেখানে তার অত্যন্ত একটা অবজ্ঞা জন্মে । Y 8