পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন অধ্যবসায়ে প্রবৃত্ত হন । কিন্তু যারা ভক্তির দ্বারা পূর্ণতার স্বাদ পেয়েছেন তারা কিছুকেই অস্বীকার করবার প্রয়োজন বোধ করেন ন!— র্তা র! অনায়াসেই ক ৰ্ম্মকে শিরোধtয্য এবং দুঃথকে বরণ করে নেন। নইলে যে তাদের ভক্তির মাহাত্ম্যই থাকে না, নইলে যে ভক্তিকে অপমান করা হয় ; ভক্তি বাইরের সমস্ত অভাব ও আঘাতের দ্বারাই আপনার ভিতরকার পুর্ণতাকে আপনার কাছে সপ্রমাণ করতে চায়—দুঃখে নম্রতা ও কৰ্ম্মে আনন্দই তার ঐশ্বর্য্যের পরিচয় । কৰ্ম্মে মানুষকে জড়িত করে এবং দুঃখ তাকে পীড়া দেয়, রসের আবিভাবে মানুষের এই সমস্তাটি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় তখন কৰ্ম্ম এবং দুঃখের মধ্যেই মামুয যথার্থ ভাবে আপনার মুক্তি উপলব্ধি করে । বসন্তের উত্তাপে পৰ্ব্বতশিখরের বরফ যখন রসে বিগলিত হয় তখন চলাতেই তার মুক্তি, নিশ্চল তাই তার বন্ধন ; তখন অক্লান্ত আনন্দে ૨ 8