পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন করে। বাধ{য় তার ক্ষতি নেই, চলায় তার শ্রাস্তি নেই । মানুষের মধ্যে ও যথন রসের আবির্ভাব না থাকে, তখনি সে জড়পিণ্ড । তখন ক্ষুধা তৃষ্ণ ভয় ভাবনাই তাকে ঠেলে ঠেলে কাজ করায়, সে কাজে পদে পদেই তার ক্লান্তি । সেই নীরস অবস্থাতেই মানুষ অস্তরের নিশ্চলত থেকে বাহিরে ও কে বলি নিশ্চলত বিস্তার করতে থাকে। তখনই তার যত খুঁটিনাটি, যত আচার বিচার, যত শাস্ত্র শাসন । তখনই মানুষের মন গতিহীন বলেই বাহিরে ও সে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে পদ্ধ। তখনি তার ওঠা বস। খাওয়া পর স ক ল দিকে ই বাধাবাধি । তখনি সে সেই সকল নিরর্থক কৰ্ম্মকে স্বীকার করে যা তাকে সম্মুখের দিকে অগ্রসর করে না, যা তাকে অন্তহীন পুনরাবৃত্তির মধ্যে কে বলি একই জায়গায় ঘুরিয়ে মারে । রসের আবির্ভাবে মানুষের জড়ত্ব ঘুচে যায় ! २४