পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ-সন্ধ্যা উপস্থিত । তাই ক্ষণে ক্ষণে মেঘমল্লারের স্বরে কেবলি করুণ গান জেগে উঠচে : — তিমির দিগভরি ঘোর যামিনী, অথির বিজুরিক পাতিয়া, বিদ্যাপতি কহে, কৈসে গোঙায়বি হরি বিনে দিনরাতিয়া । প্রহরের পর প্রহর ধরে এই বাৰ্ত্তাই সে জানাচ্চে, ওরে, তুই যে বিরহিনী—তুই বেঁচে আছিস কি করে, তোর দিনরাত্রি কেমন করে কাটুচে ? সেই চিরদিনরাত্রির হরিকেই চাই, নইলে দিনরাত্রি অনাথ । সমস্ত আকাশকে কঁদিয়ে তুলে এই কথাটা আজ আর নিঃশেষ হতে 5f.55 R1 | আমরা যে তারই বিরহে এমন করে কাটচ্চি এ খবরটা আমাদের নিতান্তই জানা চাই । কেন না বিরহ মিলনেরই অঙ্গ। ধোয়

)○