পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ-সন্ধ্যা আজ কেবলি মনে হচ্চে এই যে বর্ষা, এ ত এক সন্ধ্যার বর্ষ নয় এ যেন আমার সমস্ত জীবনের অবিরল শ্রাবণধার। যতদূর চেয়ে দেখি আমার সমস্ত জীবনের উপরে সঙ্গিহীন বিরহসন্ধ্যার নিবিড় অন্ধকার—তারই দিগদিগস্তরকে ঘিরে অশ্রাস্ত শ্রাবণের বর্ষণে প্রহরের পর প্রহর কেটে যাচে ; আমার সমস্ত অtকাশ ঝর ঝর করে বলচে–“কৈসে গোঙায়ুবি হরি বিনে দিনরাতিয়া ।” কিন্তু তবু এই বেদন', এই বোদন, এই বিরহ একেবারে শূন্ত নয় ;– এই অন্ধকারের এই শ্রাবণের বুকের মধ্যে একটি নিবিড় রস অত্যন্ত গোপনে ভরা রয়েছে ; একটি কোন বিকশিত বনের সজল গন্ধ আসচে, এমন একটি অনিৰ্ব্বচনীয় মাধুর্য্য —যা যখনি প্রাণকে ব্যথায় কাদিয়ে তুলচে তখনি সেই বিদীর্ণ ব্যথার ভিতর থেকে অশ্রুসিক্ত আনন্দকে টেনে বেব করে নিয়ে অস্চে । 冷《