পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিধা দিক্, সীমাব দিক্ এবং অনন্তের দিক্‌---এই দুইকে মিলিয়ে চলতে হবে মানুষকে । যতদিন ভাল করে মেলাতে না পার! যায় ততদিনকার যে চেষ্টার দুঃখ, উত্থান পতনের দুঃখ সে বড় বিষম দুঃখ। যে ধৰ্ম্মের মধ্যে মানুষের এই ছন্দ্বের সামঞ্জস্ত, ঘট্টতে পারে সেই ধর্মের পথ মামুষের পক্ষে কত কঠিন পথ। এই ক্ষুরধারশাণিত দুর্গম পথেই মানুষের যাত্র ;–একথা তার বলবার জো নেই যে এই দুঃখ আমি এড়িয়ে চলব। এই হঃথকে যে স্বীকার না করে তাকে দুৰ্গতির মধ্যে নেমে যেতে হয় ; –সেই দুৰ্গতি যে কি নিদারুণ পশুরা তা কল্পনা ও করতে পারে না । কেননা, পশুদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের দুঃখ নেই— তfর কেবলমাত্র পশু । তার কেবলমাত্র শরীর ধারণ এবং বংশবৃদ্ধি করে চলবে এতে তাদের কোনো ধিক্কার নেই । তাই তাদের পশুজন্ম একেবারে নিঃসঙ্কোচ। 8 ठे