পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিধা যদি জানতে পারি যে এই ভ্রণ একদিন ভূমিষ্ঠ হবে তাহলেই বুঝতে পারি এ সমস্ত ইন্দ্রিয় ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তার কেন আছে । এই সকল অtপাত-অনর্থক অঙ্গ হতেই অনুমান করা যায়, অন্ধকারবাসই এর চরম নয়, আলোকেই এর সমাপ্তি, বন্ধন এর পক্ষে ক্ষণকালীন এবং মুক্তিই এর পরিণাম । তেমনি মনুষ্যত্বের মধ্যে এমন কতকগুলি লক্ষণ অাছে কেবলমাত্র স্বার্থের মধ্যে মুখভোগের মধ্যে যার পরিপূর্ণ অর্থ ই পাওয়া যায় না—উন্মুক্ত মঙ্গললোকেই যদি তার পরিণাম না হয় তবে সেই সমস্ত স্বর্থবিরোধী প্রবৃত্তির কোনো অর্থ ই থাকে না। যে সমস্ত প্রবৃত্তি মানুষকে নিজের দিক থেকে দুর্নিবীরবেগে মন্তের দিকে নিয়ে যায়, ংগ্রহের দিক থেকে ত্যাগের দিকে নিয়ে যায়, এমন কি, জীবনে আসক্তির দিক থেকে মৃত্যুকে বরণের দিকে নিয়ে যায়—যা মানুষকে বিনা প্রয়োজনে বৃহত্তর জ্ঞান ও মহত্তর চেষ্টার Y e )