পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিধা দিলে চলে না। বড় হয়ে সকলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তবেই সে যে সত্য হবে, তার সমস্ত শরীর ও মন, জ্ঞান, ভাব ও শক্তি সমগ্রভাবে সার্থক হবে এবং সেই সার্থকতাতেই সে যথার্থ মুক্তিলাভ করবে—এই কথা বুঝে কঠোর শিক্ষার ভিতর দিয়ে পুত্রকে মানুষ করে তোলাই পিতার কৰ্ত্তব্য হয়ে ওঠে । ঈশ্বরের মধ্যে এই মাতা পিতা এক হয়ে আছে । তাই দেখতে পাই অামি সুর্থী হব বলে জগতে আয়োজনের অস্ত নেই। আকাশের নীলিমা এবং পৃথিবীর শুামলতায় আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়—যদি নাও যেত তবু এই জগতে আমাদের বাস অসম্ভব হত না। ফলে শস্তে আমাদের রসনার তৃপ্তি হয়—যদি নাও হত তবু প্রাণের দ্বায়ে আমাদের পেট ভরাতেই হত । জীবনধারণে কেবল যে আমাদের বা প্রকৃতির প্রয়োজন তা নয়, তাতে আমাদের আনন্দ ; শরীর চালনা

  • * >